এবার সুপার ওভারে ১ রানে হারল মাহমুদউল্লাহর খুলনা

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০১৯, ০৬:৪৪ পিএম
এবার সুপার ওভারে ১ রানে হারল মাহমুদউল্লাহর খুলনা

ঢাকা: জয় পেতে চিটাগাং ভাইকিংসের দরকার ছিল ১৯ রানের। রবি ফ্রাইলিংক ও নাঈম হাসান তুলতে পারলেন ১৮ রান। এবারের বিপিএল প্রথম দেখল টাই! নিয়ম অনুযায়ী খেলা গড়াল সুপার ওভারে। বিপিএলের ইতিহাসেই এটি প্রথম সুপার ওভার। আর সুপার ওভারে কপালে ফেরেনি মাহমুদউল্লাহর খুলনা টাইটান্সের। দলটি হেরে গেছে ১ রানে। চার ম্যাচ খেলে সবগুলো ম্যাচেই হারল খুলনা।

সুপার ওভারে আগে ব্যাটিং করে ১ উইকেটে ১১ রান তুলেছে চিটাগং। ক্যামেরন ডেলপোর্ট ও ফ্রাইলিংক নেমেছিলেন ব্যাটিংয়ে। প্রথম তিন বলে ৯ রান তোলার পর ফ্রাইলিংক জুনায়েদ খানের বলে আউট হওয়ার পর নেমেছেন মুশফিক। খুলনা এই রান তাড়া করতে পারেনি। ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন কার্লোস ব্রেথওয়েট ও ডেভিড মালান। ফ্রাইলিংকের করা এক ওভারের প্রথম ৩ বলে এক চারসহ ৭ রান নেন ব্রেথওয়েট ও মালান। শেষ ৩ বলে দরকার ছিল ৫ রান। চতুর্থ বলে রান আউট হন ব্রেথওয়েট। পঞ্চম বলে ২ রান নেন মালান ও পল স্টার্লিং। অর্থাৎ শেষ বলে দরকার ৩ রান। মাঠে দুই দলের খেলোয়াড়েরাই তখন স্নায়ুচাপে পিষ্ট। কিন্তু শেষ বলে মালান ও স্টার্লিং মাত্র ১ রান নিতে পারায় আরেকটি পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো মাহমুদউল্লাহদের।

চিটাগংয়ের প্রথম ম্যাচে আশরাফুল মাত্র ৩ রান করলেও দল জেতায় কেউ তা মনে রাখেনি। কিন্তু পরের ম্যাচে আশরাফুলের ২৩ বলে ২২ রানের ইনিংস প্রয়োজনের মুহূর্তে দলকে আরও পেছনে ঠেলে দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত হারতেও হয় চিটাগংকে। শনিবার আশরাফুলের জায়গায় সুযোগ পেয়ে যান ইয়াসির। ২ ছক্কা ২ চারে ৩৪ বলে খেলেছেন ৪১ রানের ইনিংস। টি-টোয়েন্টি বিচারে খুব মারমুখো ইনিংস নয় তবে দলকে জয়ের পথেই রেখেছিলেন ইয়াসির। দলকে ৪৫ বলে ৬৬ রানের দূরত্বে রেখে আউট হন তিনি। উইকেটের এক প্রান্তে তখন মুশফিকুর রহিম ১৫ বলে ১৫ রানে অপরাজিত। ‘সেট’ হয়ে গেছেন বলাই যায়। অথচ, মুশফিক তো মুশফিক, সিকান্দার রাজা, মোসাদ্দেক হোসেনরা এই ম্যাচ বের করতে পারলেন না! শেষ পর্যন্ত ফ্রাইলিংক ও মেহেদীর তিন ছক্কা শেষ ওভারে ১৯ রানের সমীকরণ প্রায় মিলিয়েই ফেলেছিল।

জয়ের জন্য শেষ ৩ ওভারে ৩২ রান দরকার ছিল চিটাগংয়ের। কার্লোস ব্রেথওয়েটের করা ১৮তম ওভারে মুশফিক উইকেট উপহার দিয়ে ফিরেছেন। মুশফিক আউট হওয়ার পরও ম্যাচ জিততে পারত চিটাগং। সেটি পারতেন ফ্রাইলিংক। শেষ ১২ বলে ২৩ রানের সমীকরণ ছিল এই প্রোটিয়ার সামনে। কিন্তু ১৯তম ওভারে জুনায়েদ খান মাত্র ৪ রান দিয়ে ভীষণ চাপে ফেলে দেন ফ্রাইলিংক ও উইকেটের অন্য প্রান্তে থাকা নাঈম হাসানকে।

শেষ ১৯ রানের সমীকরণ মেলানোর চ্যালেঞ্জ ছিল চিটাগংয়ের। আর প্রথম জয়ের দেখা পেতে খুলনার দরকার ছিল এর আগেই চিটাগংকে বেঁধে ফেলা। শেষ ওভারে আরিফুল হকের হাতে বল তুলে দিয়ে বেশ চমকেই দিয়েছিলেন খুলনা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। সেটি বোধ হয় স্ট্রাইকে নাঈম হাসান থাকার জন্য। আরিফুলের প্রথম বল নাঈম ব্যাটে লাগাতে না পারলেও পরের বলটি বাতাসে ভাসিয়ে পাঠিয়ে দেন সীমানার বাইরে। ছক্কা! কিছুটা জমে ওঠে ম্যাচ। কিন্তু তৃতীয় বলেই নাঈমকে তুলে নেন আরিফুল। নাটকের তখনো বাকি ছিল। চতুর্থ বলে ফ্রাইলিংক ছক্কা মারলে ম্যাচ নেমে আসে ২ বলে ৭ রানের সমীকরণে।

আরিফুলের পঞ্চম বলেও মিড উইকেট অঞ্চল দিয়ে ছক্কা মারেন ফ্রাইলিংক।  সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, বল ব্যাটে না লাগলেও ফ্রাইলিংক শুরুতে দৌড়ানোর চেষ্টাটুকু পর্যন্ত করেননি! পরিণামে হতে হয়েছে রান আউট। খুলনার ৬ উইকেটে ১৫১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে চিটাগংকে থামতে হয় ৮ উইকেটে ১৫১ রানে।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/এমএইচএম

Link copied!