• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিদেশি গণমাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর ফিরে আসা


আন্দালিব রাশদী জানুয়ারি ১০, ২০২৩, ১১:৩৭ এএম
বিদেশি গণমাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর ফিরে আসা

ঢাকা : পাকিস্তানের বহুল কথিত বীর সেনাবাহিনী ঢাকার ধূলিচুম্বন করে আত্মসমর্পণ করে, স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে, কিন্তু মুজিব পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি না পাওয়ায় এবং সদ্যস্বাধীন দেশে ফিরে না আসাতে পারায় স্বাধীনতার অসম্পূর্ণতা নিয়ে বিদেশি সব গণমাধ্যমই মন্তব্য করেছে। ৮ জানুয়ারি ১৯৭১ অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস এবং রয়টার সদ্য কারামুক্ত ও লন্ডনে উপস্থিত বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যে দু’টি ডেসপাচ প্রেরণ করে তাতে পৃথিবী জেনে যায় কাক্সিক্ষত মুক্তি অর্জিত হয়েছে এবং তিনি আসছেন।

ডেসপাচে উল্লেখ করা হয় : শেখ মুজিবুর রহমান আজ (৮ জানুয়ারি ১৯৭২) লন্ডনে পৌঁছেছেন এবং সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেছেন ‘বাংলাদেশ এখন চ্যালেঞ্জের ঊর্ধ্বে এক বাস্তবতা’। সাহসী কণ্ঠে অসুস্থতার কোনো লক্ষণ না দেখিয়ে ৫১ বছর বয়সী বঙ্গপিতা (বাঙালিদের জনক) বললেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করার কোনো প্রতিশ্রুতি তিনি মিস্টার ভুট্টোকে দেননি।

অভিজাত ক্ল্যারিজেস হোটেলের বলরুমে চিত্রিত দেয়াল আয়না প্রেক্ষাপটে রেখে টেলিভিশন আলোর ঝলকের নিচে শেখ মুজিব যখন সংবাদ সম্মেলন করছিলেন, বাইরে বহুসংখ্যক উল্লসিত বাঙালি জমায়েত হয়েছে। তাকে প্রথম দিকেই যে প্রশ্নের মোকাবিলা করতে হয়েছে, তা হচ্ছে : উড়োজাহাজে ঢাকায় যাওয়ার বদলে আপনি লন্ডনে কেন এলেন?

শেখ জবাব দিলেন : আমি ছিলাম কয়েদি, এটা পাকিস্তান সরকারের ইচ্ছেতে হয়েছে, আমার ইচ্ছেতে নয়। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি যোগসূত্র রক্ষা করার জন্য মিস্টার ভুট্টো তাকে অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেছেন, আমার জনগণের কাছে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত আমি কিছুই বলতে পারব না। শেখ মুজিবকে সাংবাদিকদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সময় বলা হয়, ‘আমাদের প্রিয় নেতা, মুক্ত মানুষের স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রে স্বাধীন রাষ্ট্রপতি।’ কালো টিউনিক ধাঁচের স্যুট পরা শেখ বাংলাদেশ সৃষ্টির সংগ্রামে জীবন বিসর্জন দেওয়া লাখ লাখ মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

তিনি রাওয়ালপিন্ডি থেকে উড়োজাহাজে এ পর্যন্ত এসে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন এই বলে সংবাদ সম্মেলন শেষ করে দেন এবং স্বর উঁচিয়ে বিজয়ের ধ্বনি দেন ‘জয় বাংলা’।

(এপি, রয়টার, লন্ডন, ৮ জানুয়ারি ১৯৭২ থেকে গৃহীত)

৯ জানুয়ারি ১৯৭২ মালয়েশিয়ার সানডে মেইল পত্রিকায় ছাপা হয়েছে ‘মুজিব মুক্ত’ : আজ অতি ভোরে (৮ জানুয়ারি ১৯৭২) শেখ মুজিবুর রহমান রাওয়ালপিন্ডি থেকে লন্ডন রওনা হন।

রেডিও পাকিস্তান জানিয়েছে পশ্চিম পাকিস্তান সময় ভোর তিনটায় (মালয়েশিয়ার সময় ভোর সাড়ে পাঁচটা) পাকিস্তান সরকারের ভাড়া করা বিশেষ বিমানে শেখ রাওয়ালপিন্ডি ত্যাগ করেছেন। রেডিও আরও বলেছে, শেখ মুজিব তার ইচ্ছে ব্যক্ত করেছেন যে তার গন্তব্য সম্পর্কে যেন কিছু জানানো না হয়, তার অনুরোধের প্রতি সম্মান জানানো হয়েছে। মুখপাত্র জানিয়েছেন গন্তব্যস্থলে পৌঁছে শেখ নিজেই ঘোষণা দেবেন। ঢাকায় অবস্থানরত রেডক্রস কর্মকর্তা ও বিদেশি সাংবাদিকদের ফোন করে রয়টার জেনেছে তার পাকিস্তান ত্যাগের কোনো খবর তারা পাননি এমনকি তিনি পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী শহরে ফিরে আসছেন এমন কোনো আগাম গুজবও শোনা যায়নি।

এদিকে বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ প্রেসিডেন্ট ভুট্টোকে সতর্ক করে বলেছেন, যদি তিনি ‘তার পাকিস্তান’ রক্ষা করতে চান তাহলে যেন অবলিম্বে শেখ মুজিবকে ফেরত দেন এবং ভারতীয় উপমহাদেশে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আমাদের নেতাকে ফিরে পেতে আমারা যে কোনো পর্যায় পর্যন্ত যেতে প্রস্তুত।

৯ জানুয়ারি ১৯৭২ প্রকাশিত জেমস ম্যাকগ্রার দ্য সানডে টাইমস প্রতিবেদন : মুজিব ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে। গত রাতে (৮ জানুয়ারি) ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথের সঙ্গে এক ঘণ্টার আলোচনায় শেখ মুজিব বাংলাদেশকে সার্বভৌম শক্তি হিসেবে ব্রিটেনের স্বীকৃতির প্রশ্নটি উত্থাপন করেন। ব্রিটেন যে বাংলাদেশের প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিথ শেখ মুজিবের মনে কোনো সন্দেহ রাখার সুযোগ দেননি।

নিউ ইয়র্ক টাইমস লিখেছে : শেখকে ঘিরে লন্ডনে বেশ উত্তেজনা বিরাজ করছিল। ভোরে লন্ডন ত্যাগ করতে উড়োজাহাজে ওঠার আগে শেখ সাংবাদিকদের বলেন, এখানে আলোচনায় তিনি ‘অত্যন্ত সন্তুষ্ট’ হয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী শেখ মুজিবুর রহমানকে টেলিফোন করেন এবং তার সঙ্গে ১০ মিনিট আলোচনা করেন। ঢাকায় যাওয়ার পথে ভারতে কিছুক্ষণ সময় দেওয়ার জন্য বলেন এবং তার জন্য উড়োজাহাজ পাঠাচ্ছেন বলে জানান। রয়টারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরে মিসেস গান্ধী নয়াদিল্লিতে বলেছেন যে, শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তি বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণ এবং বিশ্ব জনমতের বিজয়।

সাইপ্রাসের নিকোশিয়া থেকে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে সাইপ্রাসের দক্ষিণে আক্রোতিরি ব্রিটিশ এয়ার বেইজে তেল ভরার জন্য সন্ধ্যায় উড়োজাহাজ দেড় ঘণ্টার বিরতি দেয়। গ্রিনিচ মান সময় ১৮টায় জাহাজ সাইপ্রাস ত্যাগ করে। সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্ট আর্কবিশপ ম্যাকারিয়াস যাত্রাবিরতির সময় শেখকে একটি বার্তার মাধ্যমে অভিনন্দন জানান।

পরদিন নয়াদিল্লি অবতরণ পর্বটি নিউ ইয়র্ক টাইমস প্রতিবেদন থেকে নেওয়া:

নয়াদিল্লি ১০ জানুয়ারি : মোটরক্যাডে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে যাওয়ার পথে হাড় কাঁপানো শীতে আট মাইল দীর্ঘ পথে হাজার হাজার মানুষ হাততালি দিয়েছে আর নিচু উচ্চতায় উড়ে যাওয়া একটি উড়োজাহাজ থেকে তাদের ওপর গোলাপ পাপড়ি বর্ষণ করা হয়েছে। শেখ মুজিবকে মুক্তি দেওয়ার পর দু’দিন আগে পাকিস্তান সরকার তাকে লন্ডন পাঠিয়ে দিয়েছে, সেখান থেকে ব্রিটিশ রয়াল এয়ারফোর্সের কমেট উড়োজাহাজ তাকে বহন করে যথাসময়ে সকাল আটটায় নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে।

তিনি যখন জাহাজ থেকে বেরিয়ে এলেন ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি দিয়ে তাকে স্বাগত জানানো হলো, তিনি ডান হাত নেড়ে জবাব দিলেন। নিকটবর্তী মাঠে গোলন্দাজ কামান থেকে তাকে ২১ বার তোপধ্বনির স্যালুট করা হলো এবং গোলন্দাজ সৈনিকরা টারমাকের আনুষ্ঠানিকতার জন্য অবস্থান নিল।

শেখ মুজিবের পরনে খোলা নেহরু কলার কালো স্যুটের ওপর কালো কোট। প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং রাষ্ট্রপতি ভি ভি গিরি এবং অন্যান্য ভারতীয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ কূটনৈতিক মিশনের কর্মকর্তারা তাকে অভিবাদন জানালেন, মিসেস গান্ধী ও অন্যরা তাকে গাঁদা ফুলের মালা পরিয়ে দেন।

জাতীয় সংগীত বেজে উঠল : একটি গুর্খা ব্যান্ড যখন ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত বাজাচ্ছে বাঙালি নেতা একটি ছোট প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে স্যালুট জানান। গার্ড অব অনার পরিদর্শন করে শেখ মুজিব পাঁচ মিনিটের একটি ভাষণে ভারতের জনগণের কাছে, মহাময়ী প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন, কারণ তারাই এই সফরকে সফল করে তুলেছেন অন্ধকার থেকে আলোর দিকে সফর, বন্দিদশা থেকে মুক্তির সফর, হতাশা থেকে আশার সফর।

ঢাকায় প্রত্যাবর্তন ১০ জানুয়ারি ১৯৭২। পরদিন ডেইলি টেলিগ্রাফ-এ প্রকাশিত ক্লেয়ার হোলিংওয়ার্থ-এর প্রতিবেদন :

রয়াল এয়ারফোর্সের যে কমেট বিমানে তিনি ঢাকা অবতরণ করেন মানুষের বাধা না মানা জোয়ারের কারণে তাকে নেমে অভ্যর্থনা পর্যন্ত পৌঁছতে বার মিনিট লেগে যায়। তাকে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনার রে ব্রিটেন, রুশ কনসাল ও অন্যান্য কূটনৈতিক প্রতিনিধি।

তার স্ত্রী এবং দুই পুত্র কিছু সময়ের জন্য জনতার মধ্যে হারিয়ে গিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত উইন্ডস্ক্রিনে বুলেটের ছিদ্রথাকা পুলিশের একটি লরিতে তিনি রেসকোর্স পৌঁছান।

জনসভার পর শহরতলির বাড়িতে শেখ ও তার পরিবারবর্গের সঙ্গে আবেগময় পুনর্মিলন ঘটে। বন্ধুদের ছড়ানো ফুলের পাপড়ি গায়ে নিয়ে তিনি তার দুই কন্যাকে আলিঙ্গন করেন। তারপর তিনি তার ৯০ বছর বয়স্ক পিতার সামনে হাঁটু গেড়ে তার পা স্পর্শ করেন। যখন তার ৮০ বছর বয়সী মা প্রবেশ করলেন তিনি অলিঙ্গন করে কান্নায় ভেঙে পড়লেন।

শেখ মুজিবুর রহমান গতকাল ঢাকা রেসকোর্সে দশ লাখ মানুষের সমাবেশে বললেন, তার নতুন দেশ বাংলাদেশ এখন স্বাধীন এবং অনন্তকাল তা স্বাধীন থাকবে। স্বভাবতই তিনি খুব ক্লান্ত, তার ৪০ মিনিটের বক্তৃতার বিভিন্ন পর্যায়ে তিনি প্রায় ভেঙে পড়ছিলেন। তিনি বললেন, স্বাধীনতা অর্জনের জন্য পৃথিবীর ইতিহাসে কখনো লাখ লাখ মানুষকে আত্মবিসর্জন দিতে হয়নি।

তিনি বলেন, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলি ভুট্টো যে বিশেষ যোগসূত্র প্রত্যাশা করেছেন তা কখনো হওয়ার নয়। পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের যে পুরনো বন্ধন ছিল তা চিরতরে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

শেখ মুজিব ঘোষণা করেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ‘সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা’ ধারণ করবে; তার মানে পাকিস্তানের মুসলিম রাষ্ট্রের ধারণা পরিত্যক্ত হলো।

তিনি রুমাল দিয়ে চোখ মুছে পাকিস্তানকে উদ্দেশ্য করে বললেন ‘তোমরা আমার দেশের লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করেছ, আমাদের মা-বোনদের বেইজ্জতি করেছ, অসংখ্য ঘরবাড়ি জ¦ালিয়ে দিয়েছ, এক কোটি মানুষ ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছ। তারপরও তোমাদের প্রতি আমি কোনো ঘৃণা লালন করি না। তোমাদের স্বাধীনতা তোমাদের কাছে থাকুক। আমাদের স্বাধীনতা নিয়ে আমাদের থাকতে দাও।

এ দিনটি নিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমসের জন্য ফক্স বাটারফিল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয় : বাংলাদেশের জন্ম ও শেখ মুজিবের প্রত্যাবর্তনে বিবেকবান আমেরিকান জনগণ উল্লসিত, যদিও যুক্তরাষ্ট্র সরকার দাপ্তরিকভাবে বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয়ের কেবল বিরোধিতাই করেনি, পাকিস্তানের সামরিক জান্তার অমানবিক নিপীড়নকে সমর্থন করেছে, সমর-সম্ভার পাঠিয়েছে, সপ্তম নৌবহরের হুমকি দিয়েছে।

শেখ মুজিব ক্লান্ত কিন্তু সংবর্ধনায় তাকে উচ্ছ্বসিত দেখাচ্ছিল। পরে ঢাকা রেসকোর্সে বিশাল জনসমাবেশে বললেন, ‘আমার জীবনের লক্ষ্য পূর্ণ হয়েছে। আমার বাংলা আজ স্বাধীন।’ কথা বলতে গিয়ে তার কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে আসে।

মাথার ওপর থেকে ফুলের পাপড়ি ঝেড়ে শেখ মুজিব বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর গার্ড অব অনার পরিদর্শন করলেন। আমেরিকার কনসাল জেনারেল হার্বার্ট ডি স্পিভাক কিছুটা মাথা নুইয়ে বাংলাদেশি নেতার সঙ্গে করমর্দন করলেন, বললেন, ‘ঢাকায় ফিরে আসায় আপনাকে স্বাগতম’, শেখ মুজিব সহাস্যে জবাব দিলেন আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

ফুল বিছানো যে ট্রাকে শেখ মুজিব উঠেছিলেন এবং এয়ারপোর্ট ছাড়িয়ে জনতার মধ্য দিয়ে তা ধীরে ধীরে এগিয়ে এসেছে এবং তারা স্লোগান দিয়েছে : শেখ মুজিব জিন্দাবাদ। বাংলাদেশ! বাংলাদেশ! নতুন এক বাদ এসেছে মুজিববাদ! মুজিববাদ!

উদ্দীপিত অনেক দর্শক তাদের নেতাকে স্পর্শ করতে চেষ্টা করেছে। কেউ কেউ পুলিশ বেষ্টনী ভেঙে তার কাছে পৌঁছে তাকে দীর্ঘ আলিঙ্গনে জড়িয়ে রেখেছে।

লেখক: কথাসাহিত্যিক ও অনুবাদক

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব ভাবনার প্রতিফলন। সোনালীনিউজ-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে লেখকের এই মতামতের অমিল থাকাটা স্বাভাবিক। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য সোনালীনিউজ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না। এর দায় সম্পূর্ণই লেখকের।

Wordbridge School
Link copied!