ঢাকা : কারওয়ান বাজার এফডিসি সংলগ্ন বস্তিতে আগুনটি কোনো দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা সেটা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেন, আমরা এখানে যতটুকু দেখেছি যে অগ্নিকাণ্ডের সুস্পষ্ট কারণ সেটা নির্ধারণ করা যায়নি। ফায়ার সার্ভিস হয়তো সেটির তদন্তসাপেক্ষে তাদের রিপোর্ট দিতে পারে। তারা তদন্ত করবে। তদন্ত করে বলতে পারা যাবে এটা দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ডিএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন।
হাবিবুর রহমান বলেন, গত রাতে সোয়া ২টায় তেজগাঁও এলাকাধীন রেললাইনের পাশে মোল্লাবাড়ি বস্তিতে প্রায় ৩০০ পরিবার বাস করে। এসব পরিবারের বেশির ভাগ মানুষই কারওয়ান বাজারে মাছ কাটেন, দিনমজুরের কাজ করেন। গভীর রাতে যখন এখানে অগ্নিকাণ্ডের সূচনা হয় তখন আশপাশের লোকজন ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। কয়েকটি টিম এখানে এসে কাজ করে। পৌনে ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
তিনি বলেন, আগুনে পুড়ে ঘটনাস্থলে দুজন নিহত হয়। এদের মধ্যে একজন নারী ও একটি ২ বছরের ছেলে শিশু। দুজন হাসপাতালে রয়েছে। তাদের একজন নারী ও একটি শিশু।
বস্তির মালিকানা বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, এই বস্তির মালিক পারশের একটি বাড়ির মালিক। তিনি এখানে ঘর করে ভাড়া দেন। এখান থেকে বের হওয়ার তেমন প্রশস্ত কোনো রাস্তা নেই। বের হয়েই দেখা যায় রেললাইন। এখানে কোনো সড়কের সাথে এটা সংযোগ নেই। এটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় সমস্যা।
নিহতদের পরিচয় বিষয়ে কমিশনার বলেন, যারা নিহত হয়েছে তাদের পরিচয় স্পষ্ট জানা যায়নি। কারণ তারা এমনভাবে পুড়েছে যে তাদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তবে দুজন নিখোঁজ আছে। ধারণা করা হচ্ছে, যারা নিখোঁজ আছে তারাই হয়তো এই দুজন। আমরা মরদেহগুলোর ডিএনএ নমুনা রেখে দিচ্ছি। পরবর্তীতে পরীক্ষা করে পরিচয় জানা যাবে।
মালিক এঘটনার দায় এড়াতে পারেন কি-না প্রশ্নের উত্তরে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যে বাড়ির মালিক তিনি এখানে বস্তি করে রেখেছেন। তাতে পানির ব্যবস্থা, বিদ্যুতের ব্যবস্থা, চলাচলের ব্যবস্থা, রাস্তা প্রাধিকার বা প্রাত্যতা সবকিছু সঠিক ছিল কি-না তা তদন্তসাপেক্ষে বলা যাবে।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :