• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

ঘরের মাঠে জিতে এগিয়ে রইল আতলেতিকো


ক্রীড়া ডেস্ক এপ্রিল ১১, ২০২৪, ০৭:২০ এএম
ঘরের মাঠে জিতে এগিয়ে রইল আতলেতিকো

ঢাকা : আক্রমণের তোড়ে শুরু থেকেই প্রতিপক্ষকে চেপে ধরল আতলেতিকো মাদ্রিদ। দ্রুত দুই গোল করে নিয়ন্ত্রণ নিল ম্যাচের। প্রথমার্ধের বিবর্ণতা ঝেড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। পুরোপুরি না পারলেও শেষ দিকে ব্যবধান কমিয়ে ফিরতি লেগে দারুণ কিছুর আশা জাগাল জার্মান ক্লাবটি।

 ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোয় বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোয়ার্টার-ফাইনালের ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে স্বাগতিকরা। রদ্রিগো দে পল ও সামুয়েল লিনোর গোলে বরুশিয়া পিছিয়ে পড়ার পর শেষ দিকে ব্যবধান কমান সেবাস্টিয়ান হলার।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

আগামী মঙ্গলবার ফিরতি লেগ হবে বরুশিয়ার মাঠে।

‘ছোট্ট কোনো ভুলেও দিতে হতে পারে বড় মাশুল’- ম্যাচের আগে কোচের দেওয়া সতর্কবার্তার পরও শুরুতেই মারাত্মক ভুল করে বসলেন বরুশিয়ার খেলোয়াড়রা; গোলরক্ষক গ্রেগর কোবেলের পাস বক্সের মুখে পেয়ে প্রতিপক্ষের চাপের মুখে হারিয়েও ফেলেন ডাচ ডিফেন্ডার ইয়ান মাটসেন। আর বল ধরে সহজেই ঠিকানা খুঁজে নেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার দে পল।

ওইরকম ভুলের পরও ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া ভাব দেখা যাচ্ছিল না বরুশিয়ার খেলায়। বরং একের পর এক আক্রমণে তাদের ওপর প্রবল চাপ তৈরি করে আতলেতিকো।

তিন মিনিট পর আবারও বরুশিয়ার রক্ষণ আলগা হয়ে পড়ে। এ যাত্রায় অবশ্য দারুণ এক সেভে অ্যালেক্স উইটসেলের প্রচেষ্টা রুখে দেন কোবেল।

শুরুর একাদশে ফেরা আলভারো মোরাতা শুরু থেকেই আলো ছড়াতে থাকেন। মনে হচ্ছিল, আতলেতিকো আক্রমণে উঠলেই যেন গোল হবে। প্রথম ২৫ মিনিটে গোলের জন্য সাতটি শট নিয়ে তিনটি লক্ষ্যে রাখে স্প্যানিশ ক্লাবটি। আর এই সময়ে বল দখলে আধিপত্য করলেও বরুশিয়ার আক্রমণভাগ ছিল একেবারেই বর্ণহীণ।

৩২তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লিনো। চোট কাটিয়ে ফেরা অঁতোয়ান গ্রিজমানের স্কুপ পাস বক্সে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডান পায়ের শটে গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।

বিরতির আগে কয়েকটি ধারহীন আক্রমণ করা বরুশিয়া দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দেয়। এই অর্ধেও আরও কয়েকটি আক্রমণ করে তারা; কিন্তু প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে তেমন একটা ভাবাতেই পারছিল না।

৭৫তম মিনিটে উল্টো ব্যবধান বাড়তে পারতো আরও। তবে লিনোর কাছ থেকে নেওয়া শট দারুণ নৈপুণ্যে রুখে দেন কোবেল।

এর ছয় মিনিট পরই ঘুরে দাঁড়ানোর উপলক্ষ পায় বরুশিয়া। সতীর্থের পাস ডি-বক্সে পেয়েই ডান পায়ের নিচু জোরাল শটে কাছের পোস্ট দিয়ে ব্যবধান কমান বদলি নামা ফরোয়ার্ড হলার।

যোগ করা সময়ের একেবারে অন্তিম মুহূর্তে সমতাসূচক গোলও পেতে পারতো বরুশিয়া। তবে ভাগ্য সহায় হয়নি; জার্মান মিডফিল্ডার ইউলিয়ান ব্রান্ডটের হেড বাধা পায় ক্রসবারে।

প্রথমার্ধে ছন্নছাড়া পারফরম্যান্সের পরও মাত্র এক গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে ফেরাটাও বরুশিয়ার জন্য স্বস্তিরই বটে।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!