• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

‘অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ-গ্যাস বিচ্ছিন্ন করা হবে’


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ১৭, ২০১৬, ০৮:০৩ পিএম
‘অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ-গ্যাস বিচ্ছিন্ন করা হবে’

আবাসিক প্লট ও ভবন থেকে সব ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের অংশ হিসেবে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানিসহ সব ধরনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ট্যাক্স ও অন্যান্য সেবা সংক্রান্ত অনুমোদন বাতিল করতেও চিঠি পাঠানো হবে।

রোববার (১৭ জুলাই) সচিবালয়ে আবাসিক প্লট ও ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ ও উচ্ছেদে গৃহীত কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়ে এক বৈঠকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদেরও কিছু গলদ আছে, অ্যাপার্টমেন্ট করার পর বাণিজ্যিক কাজ চলানোর জন্য বিদ্যুৎ-গ্যাস বা অন্যান্য সেবা সংক্রান্ত সব অনুমতি নিয়েছে। এসব সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা উচিত।’

তিনি আরও বলেন, আজ বৈঠক শেষে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে চিঠি পাঠানো হবে।

শহর এলাকায় আবাসিক প্লট ও ভবন থেকে সব ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সরাতে ছয় মাস সময় বেঁধে দেয়া হলেও এর মধ্যেই তিন মাস পার হয়ে গেছে।

বাকি তিন মাসে উচ্ছেদ অভিযান সম্পূর্ণ হবে কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আরও তিন মাস বাকি আছে, প্রয়োজনে আরও তিন মাস বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হবে। তবে সব অবৈধ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে।’

এক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ক্লিনিকগুলো সময় পেলেও গেস্টহাউজগুলো কোনো সময় পাবে না।
 
মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘অনেক আগেই প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য, তবে পরবর্তীকালে মানবিক বিষয় বিবেচনা করে বিদেশিরা থাকে এসব বিবেচনায় ধীর গতিতে কাজ করছিলাম। কাজ চলছে; কাজ বন্ধ হয়নি।’

এই বৈঠকের পর উচ্ছেদ অভিযান জোরদার করা হবে বলেও জানান তিনি।  

তিনি জানান, উত্তরা জোন-২ এ ১১৬টি এবং জোন-৪ এ (গুলশান-বারিধারা) র‌্যাম্প উচ্ছেদ করা হয়েছে ২০৮টি, ৪৯টি কার পার্কিংয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে, জোন-৫ (ধানমন্ডি-লালবাগ) ৯টি র‌্যাম্প, ৯৮টি কার পার্কিংয়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

“জোন-২ (উত্তরা) এ তালিকাভুক্ত অবৈধ বাণিজ্যিক স্থাপনা রয়েছে ২১৫টি। ৫৫টিকে নোটিস দিয়েছি। কাজ চলমান, আমরা উচ্ছেদের অভিযান চালাব।”

তিনি আরও বলেন, ‘জোন-৩ (মিরপুর) এ তালিকাভুক্ত অবৈধ বাণিজ্যিক স্থাপনা আছে ৫৮০টি, এটা আরও বাড়তে পারে। নোটিস দিয়েছি ৭১টিকে। কাজ চলমান।’

“জোন-৪ (গুলশান-বারিধারা) তালিকাভুক্ত অবৈধ বাণিজ্যিক স্থাপনা আছে ৫৫২টি। রেস্টুরেন্ট, অফিস, হোটেল, গেস্টহাউজ, ক্লিনিক এবং স্কুল। এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। ৩০টিকে নোটিস দেয়া হয়েছে। কাজ চলমান আছে।”

এর বাইরে জোন-৫ (ধানমন্ডি-লালবাগ) এ ১৭৩টি অবৈধ স্থাপনার মধ্যে ৬০টিকেকে এবং জোন-৬ (মতিঝিল-খিলগাঁও) এ ১০৫টি অবৈধ স্থাপনার মধ্যে ৫৩টিকে নোটিস দেয়ার তথ্য দেন মোশাররফ হোসেন।

অবৈধ প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদে নানা সমস্যা হয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “আমরা শুধু একা নয়, আমরা করলে তারা কোর্টে যায়। কোর্ট স্থগিতাদের দেয়। সুতরাং এটা সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বন্ধ করতে হবে। আমরা বন্ধ করতে যাব, কয়েকশ মামলা হয়েছে।”

বৈঠকে গণপূর্ত সচিব শহীদ উল্লা খন্দকারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!