কেন্দ্রীয় সভাপতিসহ ছাত্রলীগের ২৪ নেতাকর্মীর নামে শিবিরের মামলা

রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের মারপিট করে পুলিশে দেয়ার অভিযোগে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাসহ ২৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজশাহী মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন রাবি শিবিরের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক নাবিউল ইসলাম।

আদালতের বিচারক জুলফিকার উল্লাহ মামলাটি আমলে নিয়ে এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার জন্য মহিতার থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান আইনজীবী আবু মোহাম্মদ সেলিম।

মামলার এজারভুক্ত আসামিরা হলো- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন, রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু, সহ-সভাপতি মাহফুজ আল আমিন, সাদ্দাম হোসেন, মিজানুর রহমান সিনহা, শাদীদ মুনতাসির এলাহী, বরজাহান আলী, আহমেদ সজীব, সাংগঠনিক সম্পাদক সাবরুন জামিল সুস্ময়, চঞ্চল কুমার অর্ক, মুশফিক আহমেদ তন্ময়, আবিদ আহসান লাবন, মেহেদী হাসান মিশু, দপ্তর সম্পাদক আবুল বাশার, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আসাদুল্লাহীল গালিব, সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক রুবেল, উপ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আবদুল হক, সহ-সম্পাদক আরমান কায়সার আবির, আবদুল্লাহীল কাফি, মামুন, উপ-সম্পাদক কায়সার ও বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ কর্মী অনিক মাহমুদ বনি।

আইনজীবী আবু  মোহাম্মদ সেলিম বলেন, গত ৮ আগস্ট শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে ১৩ ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীকে মারপিট করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ অভিযোগে বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাবি শিবিরের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক নাবিউল ইসলাম বাদী হয়ে মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১৪৩, ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ৩০৭, ৩২৩, ৩২৪, ৩২৫ ও ৩২৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ওই আইনজীবী আরো বলেন, মামলাটি ফাইল করেছেন আইনজীবী মিজানুল ইসলাম। তিনি মামলাটি আদালতে উপস্থাপন করেছেন।

রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয় বলেন, শুনেছি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে শিবির মামলা করেছে। মামলার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারিনি। ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া একটি সংগঠন। বঙ্গবন্ধু যেমন হামলা-মামলায় ভয় পায়নি তেমনি শিবির মামলা-হামলা করে ছাত্রলীগকে দমিয়ে রাখতে পারবে না, তাছাড়া মৌলবাদী শক্তি শিবিরকে প্রতিহত করতে রাবি ছাত্রলীগ সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমি শুনেছি মামলার এজহারে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নামেও আছে। সুতারাং এর থেকে বুঝা যায় এই মামলার কোনো যৌক্তিকতা নেই। এটি নিছক কাণ্ডজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ড ছাড়া আর কিছুই না।

তবে এ বিষয়ে মামলার বাদী শিবিরের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক নাবিউল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

মামলার বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদি হাসান বলেন, এ ধরণের মামলার কোনো নথি আদালত থেকে তাদের কাছে পৌঁছেনি। আদালত থেকে নথিপত্র থানায় আসলে বিচারকের নির্দেশনা অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম