• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

‘জলবায়ু সমস্যার সমাধান বৈশ্বিকভাবে হতে হবে’


আন্তর্জাতিক ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭, ১১:২৯ এএম
‘জলবায়ু  সমস্যার সমাধান বৈশ্বিকভাবে হতে হবে’

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন একটি বৈশ্বিক ইস্যু। এ সমস্যার সমাধান অবশ্যই বৈশ্বিকভাবে হতে হবে। এজন্য প্রয়োজন সম্মিলিত ও কার্যকর পদক্ষেপ।’

শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) মিউনিখে ‘ক্লাইমেট সিকিউরিটি : গুড কপ, ব্যাড কপস’ শীর্ষক এক প্যানেল আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কোনও একটি দেশের অসহযোগিতা সবার জন্য হুমকি হতে পারে। আমরা অবশ্যই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নেবো। জলবায়ু পরিবর্তন নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণ। এতে সম্পদের ওপর চাপ বৃদ্ধি পায়। ফলে অস্থিতিশীলতা, সহিংসতা ও সংঘাত তৈরি হতে পারে। যা মূলত জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকিতে ফেলতে পারে।’

প্রধানমন্ত্রী তিনটি বিষয়ে তুলে ধরেছেন তার বক্তব্যে। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে খাদ্য উৎপাদন এবং এর মান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমাদের জলবায়ু পরিবর্তন সহিষ্ণু চাষাবাদ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা প্রয়োজন। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।’

পানির নিরাপত্তা জন্য তহবিল গঠনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও অন্যান্য কারণে জীবন-জীবিকার জন্য বিশুদ্ধ পানির সংকট তীব্র হয়ে উঠছে। পানির সুষ্ঠু ব্যবহার এবং কার্যকর ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে সবার অবশ্যই মনোযোগ দিতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে লাখ লাখ মানুষ অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিকভাবে অভিবাসনে বাধ্য হচ্ছে। এটি সরাসরি সামাজিকভাবে সম্পদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। নতুন নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে।’

কার্বন নিঃসরণ কমানো প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ উন্নয়ন কার্যক্রমে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনতে সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশে ৪৫ লাখ বাড়িতে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে। ২০১৮ সাল নাগাদ বাংলাদেশ বিশ্বে বৃহত্তম সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী দেশে পরিণত হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের নিরাপত্তা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি থেকে এই বিশ্বকে সুরক্ষা দিতে বিশ্ব নেতাদের রাজনৈতিক সংহতি প্যারিস চুক্তিতে প্রতিফলিত হয়েছে।যদিও মারাকেস সম্মেলনের ফলাফল যথেষ্ট উৎসাহব্যঞ্জক ছিল না।

ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তো, সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারগোট ওয়ালস্টোম, যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর সেলডন হোয়াইটহাউস আলোচনায় অংশ নেন। দিওটসে ওইলি চিফ পলিটিক্যাল করেসপন্ডেন্ট মালিন্দা মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন। সূত্র: বাসস

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!