দেশের সব ইউনিয়নে ফ্রি ওয়াইফাই দেবে সরকার

ঢাকা: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সরকার দেশের সকল মানুষকে ইন্টারনেটের আওতায় আনতে দেশের সকল ইউনিয়নে বিনামূল্যে ওয়াইফাই সুবিধা দেবে। হাইস্পিড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সংযোগের মাধ্যমে যুক্ত করে জনগণকে এই ওয়াইফাই সুবিধা দেয়া হবে।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ার মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্ত বিভাগের এগিয়ে যাওয়ার আরো চার বছর উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বর্তমানে দেশের অর্ধেক মানুষ এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। ২০২১ সালের মধ্যে শতভাগ মানুষকে ইন্টারনেটের আওতায় আনার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার।

তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ব্রডব্যান্ডের মাধ্যমে হাইস্পিড ইন্টারনেট কানেকটিভিটি ৫০ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যে সরকারি সেবার ৫০ শতাংশ এখন ই-গর্ভনেসের আওতায় এসেছে। ২০২১ সালের মধ্যে এই সেবাকে আমরা ৯০ শতাংশে নিতে চাই। এছাড়া ই-গর্ভনেন্সর পাশাপাশি আমরা এম-গর্ভনেন্স নিয়ে কাজ করছি।  

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী তিন বছরে ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা রযেছে আইসিটি বিভাগের। এজন্য লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ইতিমধ্যে এই প্রকল্প থেকে ১৩ হাজার তরুণ-তরুণী প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। যাদের মধ্যে ১০ হাজার তরুণ-তরুণী অনলাইন মার্কেটপ্লেসে আউটসোর্সিং করে ৬ লাখ ডলারেরও বেশি আয় করেছে।

পলক বলেন, চলতি বছর তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে ৪০ হাজার তরুণকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। যার মধ্যে ৪ হাজার নারীকে ফ্রিল্যান্সার ও এন্টারপ্রেনার হিসেবে উপযুক্ত করে গড়ে তোলা হবে। যারা জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে থেকে কাজ করবে।

এসব নারীকে ৯ মাসের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ইন্টার্নশিপের সুযোগ দিয়ে ল্যাপটপ কেনার জন্য ২০ হাজার টাকা দেয়া হবে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে আইসিটি বিভাগ শিক্ষার ডিজিটালাইজেশনে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেছে। এটাকে প্রাইমারি স্কুলেও যুক্ত করার পরিকল।পনা রয়েছে।

জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, দেশের আরো ৫ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব নির্মাণের কাজ চলছে। এ ছাড়াও স্মার্ট সিটি, জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা কাউন্সিল, জাতীয় নিরাপত্তা এজেন্সি, ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব এবং শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফিউচার টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করছে সরকার।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম