• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

প্রভাবশালীরাও ছাড় পাবে না, দুদক চেয়ারম্যানের হুঙ্কার


বিশেষ প্রতিনিধি নভেম্বর ২, ২০১৬, ০৫:৪৭ পিএম
প্রভাবশালীরাও ছাড় পাবে না, দুদক চেয়ারম্যানের হুঙ্কার

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, দেশে এখন সার্বিকভাবে দুর্নীতির হার অনেকাংশে কমে গেছে। এর বড় প্রমাণ হচ্ছে, প্রবৃদ্ধির হার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দারিদ্রের হার কমছে।

তিনি বলেন, দেশে যখন দুর্নীতি হ্রাস পায় তখন দারিদ্রের হার কমে এবং মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ে। সাথে সাথে প্রবৃদ্ধিও বাড়ে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) সম্প্রতি দেশে দুর্নীতি কমার বিষয়টি স্বীকারও করেছে।

বুধবার (২ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ের মিডিয়া সেন্টারে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে দুদক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।সংবাদ সম্মেলনে দুদক কমিশনার (তদন্ত) এএফএম আমিনুল ইসলাম, কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মো. নাসির উদ্দিন ও সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল উপস্থিত ছিলেন।

দুদকের বার্ষিক প্রতিবেদন রাষ্ট্রপতির কাছে দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিবেদনে সরকারের কাছে ৩২টি সুপারিশ করা হয়েছে।

সিস্টেম চ্যাঞ্জ না করলে দুর্নীতি দমন সম্ভব নয় উল্লেখ করে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ট্যাক্স দেন বা না দেন, প্রত্যেকটি পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তির ট্যাক্স ফাইল থাকা উচিত। তাহলে তাদের সম্পদের হিসাব সহজে নেয়া সম্ভব হয়।

দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কমিশনের কাজের ব্যাপারে কেউ প্রভাব বিস্তার করে না, এ পর্যন্ত কেউ অন্যায় আবদার নিয়েও কমিশনের আসেনি। কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন। দুর্নীতিবাজ বা অপরাধী যেই হোক বা যতবড় প্রভাবশালীই হোক তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, বার্ষিক প্রতিবেদনে পুলিশের সেবা যাতে জনবান্ধব হয়, সেজন্য এই সংস্থার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতে একটি স্বাধীন জুডিশিয়াল কমিশন গঠন করতে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।

বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে এই ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির কারণে ৫৬টি মামলা হয়েছে, আরও মামলা হবে। দুর্নীতি মামলার কোন আসামি যাতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য দেশের সব বন্দরে আসামির পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া হবে।

চেয়ারম্যান বলেন, ২০১৫ সালে প্রাপ্ত ১০ হাজার ৪১৫টি অভিযোগের মধ্যে অনুসন্ধানের জন্য ১ হাজার ২৪০টি গ্রহণ করা হয়েছে এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠানো হয়েছে ১৬৫টি। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত অভিযোগ জমা পড়েছে ৮ হাজার ৮৫২টি। এরমধ্যে ৬৪০টি অনুসন্ধানের জন্য গ্রহণ করে ৪৬৭টি অভিযোগ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠানো হয়েছে।

তিনি জানান, ২০১৫ সালে দুদক মামলা দায়ের করেছে ৫২৭টি, চার্জশীট দাখিল করেছে ৬১৪টি। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত মামলা দায়ের হয়েছে ২৮০টি, চার্জশীট দাখিল করেছে ৪৫৬টি। ২০১৫ সালে দুদকের নিষ্পত্তিকৃত মামলার সংখ্যা ১৮৮টি। এরমধ্যে সাজা হয়েছে ৬৯টি, খালাস হয়েছে ১১৯টি। সাজার হার ৩৭ শতাংশ। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত দুদকের নিষ্পত্তিকৃত মামলার সংখ্যা ১৫৮টি। এরমধ্যে সাজা হয়েছে ৮০টি, খালাস হয়েছে ৭৮টি। সাজার হার ৫১ শতাংশ।

২০১৫ সালে বিলুপ্ত ব্যুরোর বিচারাধীন মামলা নিষ্পত্তির সংখ্যা ১১৮টি। এরমধ্যে সাজা হয়েছে ৩০টি, খালাস হয়েছে ৮৮টি। সাজার হার ২৫ শতাংশ। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত বিলুপ্ত ব্যুরোর বিচারাধীন মামলা নিষ্পত্তির সংখ্যা ৭৭টি। এরমধ্যে সাজা হয়েছে ৩৬টি, খালাস হয়েছে ৪১টি। সাজার হার ৪৭ শতাংশ।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!