• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতকে ৩৩৯ রানের ফাইনাল চ্যালেঞ্জ পাকিস্তানের


ক্রীড়া প্রতিবেদক জুন ১৮, ২০১৭, ০৭:২৭ পিএম
ভারতকে ৩৩৯ রানের ফাইনাল চ্যালেঞ্জ পাকিস্তানের

ঢাকা: বিশ্বের কোটি কোটি দর্শকের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অস্টম আসরের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জিততে টিম ইন্ডিয়াকে ৩৩৯ রানের চ্যালেঞ্জ ছুরে দিয়েছে সরফরাজ আহমেদের দল। আগে ব্যাট করতে নেমে ফাখন জামানেই মেইডেন সেঞ্চুরির বদৌলতে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৩৮ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান।

রোববার (১৮ জুন) লন্ডনের কেনিংটন ওভালে শিরোপা লড়াইয়ে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদের মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান। জাসপ্রিত বুমরাহর করা ইনিংসের চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন ওপেনার ফখর জামান। কিন্তু টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বলটি নো। ফলে নতুন জীবন পান ফখর। তারপর থেকেই হাত খুলে খেলছেন দুই ওপেনার। ২১ ওভারের মধ্যে আজহার আলি এবং ফখর জামান, দু’জনেই তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি।

আজহার আলিকে নিয়ে ওপেনিং জুটিতে ১২৮ রান তুলে নতুন রেকর্ড গড়েন ফখর। বেঙ্গালুরুতে ১৯৯৬ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ৮৪ রান তুলেছিলেন দুই ওপেনার আমির সোহেল ও সাঈদ আনোয়ার। এত দিন আইসিসির টুর্নামেন্টে ভারতের বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে এটা ছিল পাকিস্তানের সর্বোচ্চ। ২১ বছরের সেই রেকর্ড ভেঙেছেন আজহার-ফকর। এরপর ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হয়ে সাঝঘরে ফেরেন আজহার আলী। তার আগে ৭৮ বলে ৬১ রান করেন এই ওপেনার। এরপরই যেন খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন ফখর। দুর্দান্ত সব শটস খেলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

৩১তম ওভারে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানেড সেঞ্চুরি মারেন ফাখন জামান। সেঞ্চুরির করতে ৯২ বলে ১২টি চার ও দুটি ছক্কা হাকান তিনি। দলের স্কোর ডাবল সেঞ্চুরিতে পৌঁছে দিয়ে বিদায় নেন তিনি। হার্দিক পান্ডিয়ার বলে রবীন্দ্র জাদেজার তালুবন্দি হয়ে বিদায় নেওয়ার আগে ১০৬ বলে ১২টি চার আর তিন  ছক্কায় ১১৪ রান করেন এই ওপেনার।

ফকর জামানের বিদায়ের পর রান সংগহের গতি ধরে রাখেন বাবর আজম আর শোয়েব মালিক। ৪৭ রানের জুটি গড়ার পর দলীয় ২৪৭ রানের মাথায় মালিককে যাদবের ক্যাচ বানিয়ে বিদায় করেন ভুবনেশ্বর কুমার। দলীয় ২৬৭ রানের মাথায় বাবরকে সাঝঘরে পাঠান কেদার যাদব। এরপর পঞ্চম উইকেটে ইমাদ ওয়াশিম ও মোহাম্মাদ হাফিজ মিলে ৪৫ বলে ৭১ রানের ঝড়ো ইনিংস পাকিস্তানকে বড় সংগহ এনে দেয়। নির্ধারতির ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৩৮ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় সরফরাজ আহমেদের দল

ভুবনেশ্বর কুমার, হার্দিক পান্ডিয়া ও কেদার যাদব ভারতের পক্ষে একটি করে উইকেট নেন।

সেমিফাইনালে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা একাদশই বহাল রেখেছে ভারত। আর স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা সেমির একাদশ থেকে একটি পরিবর্তন এনেছে পাকিস্তান। বাঁ-হাতি পেসার রুম্মান রাইসের জায়গায় একাদশে এসেছেন আরেক বাঁ-হাতি পেসার মোহাম্মদ আমির।

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত এ ম্যাচে ফেবারিট হিসেবে মাঠে নামবে। তবে আগুন ঝড়া ফাইনালে তারা হয়তোবা চিরপ্রতিদ্বন্দি পাকিস্তানের চেয়ে ভিন্নধর্মী একটি প্রতিপক্ষকে আশা করছে। পার্শবর্তী দেশ দুটির মধ্যে বছরের পর বছর ধরে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চলে আসছে। তবে বিশ্ব জুড়ে লক্ষ কোটি সমর্থক ২০০৭ টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনালের দশ বছর পর প্রথমবারের মত বড় একটি টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত দল হিসেবে ভারত-পাকিস্তানকে দেখতে পাবে।

কেনিংটন ওভালে ভারত খেলেছে ১৪ বার। জয় পেয়েছে মাত্রটি ৫টি ম্যাচে। হেরেছে ৮টিতে এবং পরিত্যক্ত হয়েছে ১টি ম্যাচ। সর্বশেষ গত ১১ জুন এই মাঠে খেলত নেমেছিলো ভারত। চলমান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ-পর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলো টিম ইন্ডিয়া। ৮ উইকেটে ওই ম্যাচটি জিতেছিলো ভারত।

পক্ষান্তরে ওভালে পাকিস্তান খেলেছে ৮টি ম্যাচ। জয় পেয়েছে মাত্রটি ২টি ম্যাচে। হেরেছে ৬টিতে। সর্বশেষ এই মাঠে ২০১৩ সালের ৭ জুন মাঠে নামে পাকিস্তান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ওই ম্যাচে ২ উইকেটে হেরেছিলো পাকিস্তান। ওই ম্যাচটিও ছিলো গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির।

পাকিস্তান একাদশ: সরফরাজ আহমেদ (অধিনায়ক), আজহার আলি, ফখর জামান, বাবর আজম, মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক, ইমাদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ আমির, শাদাব খান, হাসান আলি, জুনাইদ খান।

ভারত একাদশ: বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, যুবরাজ সিং, মহেন্দ্র সিং ধোনি, কেদার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ভুবনেশ্বর কুমার, জাস্প্রিত বুমরাহ।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!