• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

‘সাঈদীর রিভিউ শুনানি হতে পরে ৬ এপ্রিল’


আদালত প্রতিবেদক এপ্রিল ৩, ২০১৭, ০৩:৪১ পিএম
‘সাঈদীর রিভিউ শুনানি হতে পরে ৬ এপ্রিল’

ফাইল ছবি

ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ডের থেকে খালাস চেয়ে করা রিভিউ এবং দণ্ড বহাল রাখার জন্য রাষ্ট্রপক্ষের করা পৃথক দুই রিভিউ শুনানি ৬ এপ্রিল হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

সোমবার (৩ এপ্রিল) অ্যাটর্নি জেনারেলের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান। তখন তিনি বলেন আমি ধারণা করছি আগামী বৃহস্পতিবার সাঈদীর রিভিউ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।

অ্যাটর্নি জেনারেল আরো বলেন, আজ মামলাটি সুপ্রিমকোর্টের ১৪৭ নাম্বারে ছিল। আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। তবে, এই দুই দিনে আমরা আরো ঝালাই কেরে নিতে পরবো। আশা করছি বৃহস্পতিবার মামলায় রিভিউ শুনানি হতে পারে।

ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের (পুনর্বিবেচনা) রিভিউতে দণ্ড থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন অমৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি সাঈদী। অপরদিকে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড চেয়ে রিভিউ আবেদন করেছিলেন রাষ্ট্রপক্ষ। এই দুই আবেদন আজ সুপ্রিম কোর্টের কার্যতালিকায় ছিল আজ।

সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চের কার্যতালিকায় পৃথক এই (রিভিউ) দুটি সুপ্রিম কোর্টে ওয়েবসাইটের ১৪৭ নম্বর ক্রমিকে ছিল।

এর আগে ২০১৬ সালের ১২ জানুয়ারি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসি চেয়ে তার আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশের রায়ের রিভিউ আবেদন করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ। তার পরে ওই বছরের ১৭ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালাস চেয়ে রিভিউ করেছিলেন সাঈদী।

২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর বিরুদ্ধে গঠিত ২০টি অভিযোগের মধ্যে আটটি প্রমাণ হয়।

সাঈদীর বিচার শুরু হয়েছিল ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর। হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, নির্যাতন ও ধর্মান্তরে বাধ্য করার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

সাঈদীর রিভিউ আবেদনে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন, ৯০ পৃষ্ঠার আবেদনে ১৬টি গ্রাউন্ডে খালাস চাওয়া হয়েছে বলেও জানান মাসুদ বিন সাঈদী।

তার আগে রাষ্ট্রপবক্ষের করা সাঈদীর অমৃত্যুকারাদণ্ড থেকে বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড করার জন্য রায় পুনর্বিবেচনায় রিভিউতে মূল আবেদনে ৩০ পৃষ্ঠার ৫টি গ্রাউন্ডে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড আইনজীবী মাহবুবুর রহমান।

এর আগে ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর সাঈদীর রায় প্রদানকারী পাঁচজন বিচারপতির স্বাক্ষরের পর সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৬১৪ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়।

গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দেন। অন্য চার বিচারপতি হলেন বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্‌হাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী।

বাকি চার মামলায় জামায়াতে ইসলামীর দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা ও মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর রিভিউ খারিজ হয়ে যাওয়ায় তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।

সোনালীনিউজ ডটকম/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!