৬০ সুশীলকে ইসির চিঠি

ঢাকা : বছর ঘুরলেই শুরু একাদশ জাতীয় নির্বাচনের বছর। এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী তৎপরতা। বাদ যাচ্ছে না নির্বাচন কমিশনও (ইসি)। মাঠ পর্যায়ে প্রস্তুতি ছাড়াও সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নির্বাচনী সংলাপও শুরু করতে যাচ্ছে কমিশন।

একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংলাপে অংশ নিতে দেশের সুশীল সমাজের ৬০ প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। ৩১ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য ওই সংলাপে আমন্ত্রিতদের তালিকায় আরও দু-একজন বিশিষ্টজনের নাম যোগ হতে পারে। রোববার (২৩ জুলাই) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাকিদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মোহাম্মাদ আবদুল্লাহ্।

ইসি সচিব বলেন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে সংলাপ শুরু হবে। সুশীল সমাজের ৬০ প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। এ তালিকায় আরও দু-একটি নাম বাড়তে পারে, এ বিষয়ে কমিশন চিন্তাভাবনা করছে।

মোহাম্মাদ আবদুল্লাহ্ বলেন, গত ১৬ জুলাই বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করে। এই কর্মপরিকল্পনায় সাতটি বড় বিষয়ের ওপর কার্যক্রম নেওয়ার পরিকল্পনা করে। এর মধ্যে বড় একটি বিষয় ছিল সংলাপ। ৩১ জুলাই সকাল ১১টায় নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে এই সংলাপ শুরু হতে যাচ্ছে। চিঠি অলরেডি জারি হয়ে গেছে। এটি আজকে না হলে কালকে যাবে। দুই দিনের মধ্যে সবার হাতে চিঠি পৌঁছে যাবে।

সংলাপে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে কারা থাকবেন- জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, যাদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে তাদের মধ্যে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, অর্থনীতিবিদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, কলামিস্ট, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, শিক্ষক, সিভিল সার্ভিসে যারা প্রবীণ ছিলেন, যারা দীর্ঘদিন মাঠপর্যায়ে কাজ করেছেন এমন সচিব বা রাষ্ট্রদূত- এই পর্যায়ের লোকজন রয়েছেন।

সংলাপের বিষয়বস্তু ঠিক করা হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, না এটা এখনো ঠিক করা হয়নি। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে যাতে সম্পন্ন করা যায়, সেই আঙ্গিকেই যারা সুশীল সমাজের সদস্য আছেন, তাদের আমরা সংলাপে আমন্ত্রণ জানাব।

এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, একাদশ জাতীয় নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু এবং সুশৃঙ্খল হয়, সে বিষয়ে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া হবে। এ বিষেয়ে গত নির্বাচনের আইন ও বক্তব্যগুলো তাদের দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা প্রস্তুতি নিয়ে আসতে পারেন।

রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের তারিখ নির্ধারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, সুশীল সমাজ ছাড়া বাকিগুলোর তারিখ এখনো ঠিক করা হয়নি। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের জন্য আগামী সপ্তাহে হয়তো তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

সংলাপকে আপনারা কতটুকু আমলে নিচ্ছেন, নাকি এটা সংলাপের জন্য সংলাপ- জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, সংলাপের জন্য সংলাপ হলে তো এটি করে লাভ নেই। আমরা প্রতিটি সংলাপের রেকর্ড, নোট রাখব। সংলাপের পরে এই রেকর্ড-নোটগুলো একত্রিত করে প্রতিবেদন হবে। প্রতিবেদনে যে সুপারিশগুলো গ্রহণ করার মতো, সে অনুসারে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোনালীনিউজ/জেডআরসি/এমটিআই