• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

দক্ষিণ আফ্রিকাতেও ভালো কিছুর অপেক্ষা


ক্রীড়া ডেস্ক সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৭, ১১:৩৫ এএম
দক্ষিণ আফ্রিকাতেও ভালো কিছুর অপেক্ষা

ঢাকা: অস্ট্রেলিয়া সিরিজ ড্র করে দারুন আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে মুশফিকুর রহীমের দল। আশা করা হচ্ছে, এই পারফরম্যান্স তারা দক্ষিণ আফ্রিকাতেও টেনে নিয়ে যেতে পারবে। এর আগে দুবার বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছিল।

এর কোনটিতেই আনন্দের কোনও স্মৃতি নেই। ২০০২ সালের অক্টোবরে তিন ওয়ানডে ও দুই টেস্ট-প্রতিটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। ২০০৮ সালের সফরটা ছিল আরও হতাশার। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তাদের বিপক্ষে কখনও জিততে পারেনি বাংলাদেশ।

এবার নয় বছর পর অনেক আশা নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা যাচ্ছে বাংলাদেশ। কোনও সন্দেহ নেই এই সফরে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে বাংলাদেশকে। তবে এবার আলোর রেখা দেখতে পাচ্ছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন। তিনি আবার দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশ দলের ম্যানেজারের দায়িত্বও পালন করবেন।

মিনহাজুল বলছেন,‘ বাংলাদেশ দল এখন অনেক পরিণত, অনেক বেশি টেস্ট খেলেছে। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিও অনেক খেলছে। বর্তমান দলের খেলোয়াড়দের কাছ থেকে আমরা অনেক কিছু পেয়েছি গত কয়েক বছরে। গত এক বছরে টেস্টে বাংলাদেশ যেভাবে ধারাবাহিক ভালো খেলছে আমরা আত্মবিশ্বাসী, এবার ভালো করবে।’

টেস্ট সিরিজে সাকিব আল হাসানকে পাবে না বাংলাদেশ। মিরপুর টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে বলতে গেলে একাই হারিয়ে দিয়েছেন এই বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার। তাঁর অনুপস্থিতি বিরাট শুণ্যতা তৈরি করবে সেটি না বললেও চলে।

তবে যারা আছেন তাদের নিয়েই দারুন আশাবাদী মিনহাজুল, ‘খেলোয়াড়দের মধ্যে এই উদ্দীপনা অবশ্যই আসবে যে ঘাটতিটা (সাকিবের না থাকা) যেন পুষিয়ে নিতে পারি। খেলোয়াড়েরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। ভালো ক্রিকেট খেলতে তারা উন্মুখ।’

দক্ষিণ আফ্রিকার বাউন্সি উইকেটের কথা মাথায় রেখে দলে রাখা হয়েছে পাঁচ পেসার। বিসিবির হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) বোলিং কোচ চম্পকা রমানায়েকে মনে করেন দক্ষিণ আফ্রিকায় পেসাররা ভালোই করবেন, ‘ফাস্ট বোলাররা সেখানে বোলিংটা উপভোগ করবে। তাদের যথেষ্ট প্যাশন আছে। লাইন-লেংথের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে উইকেট পাবে।’

দক্ষিণ আফ্রিকার পেস আক্রমণও দারুন সমৃদ্ধ। গতি তারকা ডেল স্টেইন না থাকলেও যারা আছেন তারা কম না। মরনে মরকেল, কাগিসা রাবাদা ও ভারনন ফিল্যান্ডার।

মিনহাজুল বাংলাদেশের পেস আক্রমণকেও পিছিয়ে রাখছেন না, ‘আমাদের পেসাররা বিশ্বমানের। অন্য দলের যারা আছে তাদের কাছাকাছিই ওরা। তবে অভিজ্ঞতার পার্থক্য আছে। এখন যত খেলবে তাদের অভিজ্ঞতা তত বাড়বে। দেখেন এবার কেমন করে। আমার বিশ্বাস, ভালো করবে।’ এখন রুবেল-মোস্তাফিজ-তাসকিনরা  প্রধান নির্বাচকের বিশ্বাসের প্রতিদান দিলেই হয়।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আরআইবি/আকন

Wordbridge School
Link copied!