• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

দেশের বৃহত্তম বৃদ্ধাশ্রম উদ্বোধনের অপেক্ষায়


সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি নভেম্বর ২৯, ২০২১, ১২:৪৮ পিএম
দেশের বৃহত্তম বৃদ্ধাশ্রম উদ্বোধনের অপেক্ষায়

সিরাজগঞ্জ : আভিধানিকভাবে বৃদ্ধ ও আশ্রম শব্দ দুটি মিলে হয়েছে বৃদ্ধাশ্রম। শব্দগতভাবে অর্থ দাঁড়ায় বৃদ্ধনিবাস বা বৃদ্ধের আশ্রয়স্থল। অন্য অর্থে জীবনের শেষ সময়ের আবাসস্থল, বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্র ইত্যাদি। পারিভাষিক অর্থে বৃদ্ধাবস্থায় পরিবার বা আত্মীয়স্বজনের আশ্রয় ব্যতীত সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় লালিত-পালিত হওয়ার স্থানকে বৃদ্ধাশ্রম বলে।

জন্মদাতা বাবা-মাকে যেহেতু অস্বীকার করতে পারে না মানুষ। তাই বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে তাদের বৃদ্ধ বাবা-মাকে। বয়োবৃদ্ধ হলে মানুষ হাঁচি-কাশি, ডায়াবেটিসের ওষুধ, পথ্য, বাথরুম ব্যবহারের ঝামেলা এসব থেকে দূরে থাকতেই মানুষ বাবা-মাকে দূরে ঠেলে দেয়। বর্তমান সমাজে আমাদের বৃদ্ধ বাবা-মায়ের জন্য আমাদের বাসায় থাকার কোনো কক্ষ বরাদ্দ থাকে না। বাসায় থাকে না তাদের জন্য নিজস্ব জায়গা। ফলে বৃদ্ধ মা-বাবার শেষ আশ্রয় হিসেবে জায়গা হয় বৃদ্ধাশ্রমে।

সূত্র মতে, সারা বাংলাদেশে প্রায় ৩২টির মতো বৃদ্ধাশ্রম রয়েছে। এসব বৃদ্ধাশ্রমে ষাটোর্ধ প্রবীণ নারী-পুরুষের ঠাঁই হয়েছে। অধিকাংশের ছেলেমেয়েরা তাদের খোঁজ-খবর রাখেন না। কারো আবার ছেলেমেয়ে নেই। কারো সন্তানরা দেশের বাইরে থাকেন। বাধ্য হয়ে তাদের আশ্রিত হতে হয় বৃদ্ধাশ্রমে। আর সেই অসহায় বৃদ্ধ মা-বাবার কথা চিন্তা করে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামে ১৮ বিঘা জমির ওপর নির্মিত হচ্ছে দেশের অন্যতম বৃহত্তম বৃদ্ধাশ্রম ‘হেনরী ভুবন’। বৃহত্তম এই বৃদ্ধাশ্রমে আছে ৫৬টি কক্ষ। যেখানে ১১২ জন বৃদ্ধ মা-বাবা আশ্রয় পাবেন। প্রতিটি কক্ষেই থাকবে ফ্রিজ, টিভি, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাসহ আলাদা বাথরুমের সুব্যবস্থা। সেখানে থাকবে ১০০ জনের একসঙ্গে বসে খাবার বিশাল ডাইনিং হল, নামাজ ঘর, লাইব্রেরি, ব্যায়ামাগার ও সুন্দর মনোরম পরিবেশে ঘোরাফেরার জন্য সুবিশাল মাঠ ও ফুলের বাগান।

বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম বৃদ্ধাশ্রম কেন্দ্র ‘হেনরী ভুবন’ গড়ে তুলছেন ড. জান্নাত আরা হেনরী ও তার স্বামী শামীম তালুকদার লাবু। এ সমাজসেবক দম্পতি মরণোত্তর একুশে পদকপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মোতাহার হোসেন তালুকদারের পুত্র ও পুত্রবধূ।

বৃদ্ধাশ্রমটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. জান্নাত আরা হেনরী বলেন, আমাদের কাজ প্রায় শেষের দিকে। কিছুদিনের মধ্যেই আমাদের উদ্বোধনের মাধ্যমে বৃদ্ধাশ্রমটি চালু করা হবে। বর্তমান সমাজে অসহায় মা-বাবার কথা চিন্তা করেই আমরা এই বৃদ্ধাশ্রমটি গড়ে তুলছি। অসহায় মা-বাবা যেন জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত এখানে ভালোভাবে থাকতে পারে। এখানে বৃদ্ধ মা-বাবারা সুন্দর প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশ অনুভব করবে। সব মিলিয়ে তারা জীবনের শেষ পর্যন্ত যেন ভালোভাবে থাকতে পারে- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!