• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

দাপুটে শীতে বিপর্যস্ত ঠাকুরগাঁওয়ের জনজীবন


ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি জানুয়ারি ৩, ২০২২, ০১:৩১ পিএম
দাপুটে শীতে বিপর্যস্ত ঠাকুরগাঁওয়ের জনজীবন

ছবি : সংগৃহীত

ঠাকুরগাঁও : দেশের উত্তর অঞ্চলের জেলাগুলোতে ঘন কুয়াশা ও সূর্যের লুকোচুরিতে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। শীতের প্রকোপে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অসহায় হয়ে দিনপাত করছে ছিন্নমূল মানুষেরা।

উত্তর অঞ্চলের সর্বশেষ জানপদ পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলা হিমালয়ের থুব কাছাকাছি হওয়ায় এখানে শীতের তীব্রতা প্রতি বছরই বেশি হয়। কিন্তু এবার যেন শীত একটু বেশি দাপুটে। ডিসেম্বরের শুরুতে শীতের তীব্রতা শুরু হলেও মাসের শেষ থেকে অসহনীয় অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়া অফিসের সূত্র মতে, সোমবার (০৩ জানুয়ারি) ঠাকুরগাঁও জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এই জেলায় কখনো সারাদিন ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে আবার কখনো চলছে হালকা রোদের আশা যাওয়া। গত দুইদিন দিন ধরে বাতাসে শীতের তীব্রতা অনেক বেশি। রাতের বেলা বৃষ্টির মতো ঝিরঝির করে কুয়াশা ঝরছে।

প্রতি বছর শীত মৌসুমে বিপাকে পড়ে এই অঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষেরা। এবারো প্রচণ্ড শীতে সাধারণ মানুষ কাজে যেতে পারছে না। শ্রমিক শ্রেণির এসব মানুষ পরিবার নিয়ে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে। অতিরিক্ত শীতের কারণে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ।

সদর হাসপাতল সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রতিবছর শীত জনিত রোগে দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। আর শীত এলেই শিশুসহ নানা বয়সের মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতলে ভর্তি হয়। শীতের মৌসুমে শিশু ওয়ার্ডে রোগীর পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে যায়।

ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা. নুর নেওয়াজ আহমেদ জানান, এ জেলায় শীতের তীব্রতা অনেক বেশি। তাই শিশু ও বিভিন্ন বয়সের মানুষ তাড়াতাড়ি শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, শীতার্তদের সহায়তায় সরকারিভাবে ইতোমধ্যে ২৬ হাজার ৩০০ কম্বল পেয়েছে জেলা প্রশাসন। এছাড়াও ৮ লাখ টাকা এসেছে চাহিদা অনুযায়ী শীতবস্ত্র ও কম্বল কেনার জন্য।

সোনালীনিউজ/এসএন

Wordbridge School
Link copied!