• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিদেশি সবজি ক্যাপসিকাম চাষে ঝুঁকছে কৃষকরা


পাবনা প্রতিনিধি  মে ২৩, ২০২৩, ১০:৫৯ এএম
বিদেশি সবজি ক্যাপসিকাম চাষে ঝুঁকছে কৃষকরা

পাবনা: পাবনার চাটমোহরে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে বিদেশী সবজি ক্যাপসিকাম চাষ। অনুকূল আবহাওয়া, উপযুক্ত মাটি এবং বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে বিদেশি সবজি ক্যাপসিকামের চাষাবাদ। অনুকূল আবহাওয়া, উপযুক্ত মাটি এবং উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় বাণিজ্যিকভাবে এ সবজিটির চাষাবাদ শুরু করেছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম বকুল। তার দেখাদেখি উপজেলার অনেক কৃষক ক্যাপসিকাম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

উপজেলা কৃষি বিভাগের সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে চাটমোহর উপজেলায় ৩০ শতাংশ জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ হয়েছে। উপজেলার মুলগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম বকুল বগুড়া থেকে চারা সংগ্রহ করে ৩০ শতাংশ জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করেছেন। এখানে দুই জাতের ক্যাপসিকাম চাষ করা হয়েছে। এগুলো হলো-উচ্চফলনশীল ইন্দিরা ও টাইগার। 

চাটমোহর উপজেলার ক্যাপসিকাম চাষী মূলগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম বকুল জানান, উপজেলার মুলগ্রাম ইউনিয়নের নিজ গ্রামে নিজস্ব জমিতে পলি নেট হাউজ পদ্ধতিতে গত জানুয়ারিতে ৪ হাজার চারা রোপণ করেছি। ক্যাপসিকাম চাষ সম্পর্কে প্রথমে ইউটিউব ও শাইখ সিরাজের কৃষি দিবানিশি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জানতে পারি। পরবর্তীতে ক্যাপসিকাম চাষে আগ্রহী হয়ে পড়ি। ক্যাপসিকাম সারা বিশ্বেই একটি জনপ্রিয় ও মূল্যবান সবজি। এটাকে আমাদের দেশে মিষ্টি মরিচও বলা হয়। অন্যান্য ফসলের তুলনায় দাম ভালো পাওয়ার আশায় এ ফল চাষ শুরু করেছি। গাছে গাছে অনেক ফল ধরেছে। এখন ফল তোলা শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত এ ফল প্রায় দেড় লক্ষ টাকা বিক্রি করেছি। 

রাশেদুল ইসলাম বকুল আরো জানান, ৩০ শতক জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করতে ফল তোলা পর্যন্ত তার প্রায় ৭০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। মাত্র তিন মাসেই প্রায় ১ হাজার ৫'শ কেজি ফল উৎপাদনের আশা প্রকাশ করছি। প্রতি কেজি ক্যাপসিকাম পাইকারি ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ থেকে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা আয় হবে আশা করছি। ইতালি থেকে ক্যাপসিকামের বীজ সংগ্রহ করে নিজেই চারা উৎপাদনসহ আগামীতে এ চাষ আরও বৃদ্ধি করবেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এ. এ. মাসুম বিল্লাহ সোনালীনিউজকে জানান, দেশে ক্যাপসিকাম খাওয়ার প্রচলন বেশি না থাকলেও এর ব্যবহার ও জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। দেশের অভিজাত হোটেল ও রেস্টুরেন্টে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ক্যাপসিকামের আকার ও আকৃতি বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। সাধারণত ফল গোলাকার ও ত্বক পুরু হয়। ভিটামিন-সিসহ অন্যান্য পুষ্টিগুণে ভরা এ সবজি বিদেশে রফতানি করেও বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব।

চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এ. এ. মাসুম বিল্লাহ আরও জানান, ক্যাপসিকাম চাষাবাদে চাটমোহর উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া অত্যন্ত উপযোগী। কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে বিদেশি সবজি ক্যাপসিকাম চাষ। ক্যাপসিকাম চাষে চাষীদের উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে পরামর্শসহ সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

সোনালীনিউজ/এসএইচ/এসআই

Wordbridge School
Link copied!