• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ


কলাপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি: আগস্ট ১৯, ২০২৩, ০৩:৩৪ পিএম
জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ

পটুয়াখালী: বঙ্গোপসাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মিলছে জেলেদের জালে। সমুদ্রযাত্রায় প্রত্যাশা অনুযায়ী মাছ পেয়ে খুব খুশি জেলে, ট্রলার মালিক ও ব্যবসায়ীরা। গত তিন বছরের তুলনায় এবছর কয়েকগুণ বেশি ইলিশ ধরা পড়ছে জেলেদের জালে।

সরজমিনে দেখা যায়, পটুয়াখালীর মহিপুর- আলীপুর মৎস্য বন্দরে ইলিশ মাছে ভরে গেছে মৎস্য অবতরণ এলাকা। বঙ্গোপসাগর থেকে একের পর এক মাছ বোঝাই ফিশিং ট্রলারগুলো এসে ভিড়ছে। শ্রমিকরা এসব ট্রলার থেকে মাছ আড়তে ওঠাচ্ছেন। সেই সঙ্গে উন্মক্ত দরদামে পাইকারদের কাছে মাছ বিক্রি করছেন। 

৬৫দিন অবরোধ শেষে প্রায় ১২ দিন বৈরী আবহাওয়া থাকায় সাগরে যেতে না পারলেও এখন তা পুসিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলেরা।

আলীপুরের কামাল মাঝি বলেন, এতদিন অবরোধ শেষে সমুদ্রে গিয়ে ভালো মাছ পেয়েছি, দীর্ঘদিন বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে ধার নিয়ে পরিবারসহ কোনোরকমে চলছি। তবে এবার মাছ পেয়েছি এবং ভালো দামে বিক্রি করেছি । বাজারে মাছের ভালো চাহিদা রয়েছে।

ট্রলারের মাঝি জাকির বলেন, বাংলাদেশে অবরোধ চলে আর ভারতীয়রা মাছ ধরে নিয়ে যায়, এই হলো বাংলাদেশের অবরোধ। মাছ পেয়েছি প্রচুর, দামও ভালো। মাছ ধরে এনেছি বিক্রি করে মহাজনের টাকা পরিশোধ করতে হবে। 

মেসার্স একতা ফিসের মালিক এনায়েত মিয়া বলেন, গভীর সমুদ্রে প্রতিদিন বিভিন্ন মাছের ট্রলার যাচ্ছে। যেসব ট্রলার মাছ পেয়েছে, তারা মাছ নিয়ে ফিরে এসেছে। দীর্ঘদিন অবরোধ শেষে আশা করা যায় এবছর ভালো মাছ পাওয়া যাবে।

আলীপুর বন্দর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা বলেন, সরকারের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা জেলেরা পালন করেছে। ঝুঁকি নিয়ে মাছ শিকারের মাধ্যমে দেশের মৎস্য চাহিদা পূরণ করে আসছেন জেলেরা। অথচ জেলেরা সমুদ্রে মাছ শিকারে গিয়ে ঝড় কিংবা জ্বলোচ্ছ্বাসে সমুদ্রে ডুবে মারা গেলে পরিবারকে কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় না। তাই তিনি নিবন্ধিত জেলেদের জন্য ঝুঁকিভাতা চালু করতে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!