দিনাজপুর: দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার কৃষকদের উপকারের জন্য ৩টি ইউনিয়নে বসানো হয় আবহাওয়ার পূর্বাভাস তথ্যবোর্ড। কৃষিকে আধুনিকায়ন ও ফসলের উৎপাদন বাড়াতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় কৃষকদের আবহাওয়ার আগাম তথ্যসেবা নিশ্চিত করতে নির্মাণ করা হয় এসব তথ্য বোর্ড। স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, এসব বোর্ডে তথ্য আপডেট করা হয় না। ফলে উপজেলার কৃষকেরা আবহাওয়ার আগাম কোনো তথ্য জানতে পান না। এতে সরকারের নেওয়া কোনো পদক্ষেপই কাজে আসছে না। এদিকে কৃষি অধিদপ্তর বলছেন বোর্ডটি প্রতিনিয়ত আপডেট করা হয়ে থাকে।
কয়েকজন কৃষক বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কৃষি আবহাওয়া পূর্বাভাসের তথ্য বোর্ডগুলো স্থাপন করা হয়। ইউনিয়ন পরিষদ ভবনেও বসানো হয় কৃষি আবহাওয়া পৃর্বাভাস তথ্যবোর্ড। কিন্তু স্থাপন করার পর থেকে আজ পর্যন্ত বোর্ডগুলো হালনাগাদ করা হয়নি।ফসল কাটা, বীজ বপন, চারা রোপণ, সার ও সেচ প্রয়োগের উপযুক্ত সময়টি জানতে প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে কৃষি আবহাওয়া পূর্বাভাসের তথ্যবোর্ড স্থাপন করা হয়। যেন কৃষকেরা আবহাওয়ার গতিবিধি বুঝে পরিকল্পনা মাফিক চাষাবাদ করতে পারেন। কিন্তু বোর্ডগুলো স্থাপনের পর থেকেই কৃষি আবহাওয়া পূর্বাভাস বোর্ডের তথ্য দেওয়ার স্থানগুলো ফাঁকা রয়েছে। এমনকি যোগাযোগের জন্য প্রয়োজনীয় নম্বরও দেওয়া নেই। সরকারের উদ্দেশ্য ছিল, কৃষককে আবহাওয়ার আগাম তথ্য দেওয়া। কিন্তু কৃষক সেটা জানেই না।
কৃষক রহিম উদ্দিন বলেন, ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে আবহাওয়া তথ্য বোর্ডগুলো সচল থাকলে আগাম বার্তা জেনে তারা ফসল রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারতেন। অনেক কৃষকই জানেন না, আবহাওয়া তথ্যবোডের নামে কোনো বোর্ড আছে পরিষদ ভবনে।
এদিকে খট্রামাধবপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান কাইছার রহমান বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অফিস আবহাওয়ার পূর্বাভাসের জন্য আমার পরিষদ ভবনে একটি বোর্ড বসানো আছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার দেড় বছরেও সেই বোর্ডগুলো আপডেট করতে দেখিনি। এ বিষয়ে বারবার তাগিদ দিয়ে আসছি। তারপরও বোর্ডগুলো আপডেট করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আরজেনা বেগম বলেন, আবহাওয়া পূর্বাভাসের তথ্যবোর্ডগুলো নিয়মিত আপডেট করা হয়। আমাদের মাঠ কর্মিরা প্রতিনিয়ত সেগুলো আপডেট করে আসেন।
সোনালীনিউজ/এসআই/এসআই
আপনার মতামত লিখুন :