• ঢাকা
  • বুধবার, ০৯ অক্টোবর, ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১

চোখ-মুখে ‘আঠা’ লাগিয়ে গৃহবধূকে ‘ধর্ষণ’


পাইকগাছা প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪, ০৫:০৭ পিএম
চোখ-মুখে ‘আঠা’ লাগিয়ে গৃহবধূকে ‘ধর্ষণ’

পাইকগাছা: বাড়িতে চুরি করতে ঢুকে খুলনার পাইকগাছায় চোখ-মুখে আঠা লাগিয়ে এবং হাত-পা বেঁধে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রবিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ওই গৃহবধূর স্বজনেরা। গৃহবধূকে এখন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কী কারণে, কারা ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেছে—এ বিষয়ে কিছুই জানাতে পারেনি তিনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই গৃহবধূর স্বামী কাঁচামালের ব্যবসা করেন। গতকাল রাতে তিনি বাড়ির বাইরে ছিলেন। পড়ালেখার জন্য ছেলে ও মেয়ে বাইরে থাকেন। গতকাল রাতে ঘরের পাশের গাছ বেয়ে ছাদে উঠে ওই বাড়িতে ঢোকে চোরেরা। আজ সোমবার সকালে ওই গৃহবধূর গোঙানির শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। এ সময় আঠা দিয়ে তার চোখ ও মুখ লাগানো ছিল। তার হাত ও পা বাঁধা ছিল। ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।

গৃহবধূর স্বামী বলেন, ‘একতলা ছাদের ওপরের সিঁড়ি ঘর খোলা ছিল। আমার স্ত্রীর চোখ ও মুখ আঠা দিয়ে আটকে দেয় ধর্ষক। আমার স্ত্রী কথা বলতে পারছে না তাই কয়জন চোর ছিল এখনই বলা যাচ্ছে না।’

ওই নারীর ছেলে বলেন, ‘বাড়ি থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট হয়েছে। মাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেলের (ওসিসি) কো-অর্ডিনেটর ডা. সুমন কুমার রায় বলেন, ‘ওই রোগীকে শারীরিকভাবে জখম করা হয়েছে। তিনি এখন সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। একটু সুস্থ হলে তাকে ওসিসিতে আনা হবে। তখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলতে পারব তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কিনা।’

ওসি ওবাইদুর রহমান বলেন, ‘নির্যাতিত পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কেউ মামলা করেনি। এ ঘটনার তদন্ত চলছে। পরে বিস্তারিতে জানানো হবে।’

এমএস

Wordbridge School
Link copied!