• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

গাজীপুরে আজব ধোঁয়া বিস্কুট খেতে তরুণ-তরুণীর ঢল 


গাজীপুর প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪, ০১:২৫ পিএম
গাজীপুরে আজব ধোঁয়া বিস্কুট খেতে তরুণ-তরুণীর ঢল 

ছবি : প্রতিনিধি

গাজীপুর: রাজধানী ঢাকার পাশের জেলা দেশের সর্ববৃহৎ তৈরি পোশাক শিল্পাঞ্চল গাজীপুরের কালিয়াকৈরে চিপস'এর মতো দেখতে এক আজব ধোঁয়া বিস্কুটের সন্ধ্যান মেলেছে। এই বিস্কুটের বিশেষত্ব হচ্ছে, এই বিস্কুট মুখে চিবিয়ে খেলে বিড়ির মতো প্রচন্ড সাদা ধবধবে ধোঁয়া বের হয়। অনেকেই প্রথমে এটা দেখলে হয়তো এটাকে মডেল সিগারেট নয়তো নেশা জাতীয় দ্রব্য মনে করবে। আসলে বাস্তবে কিন্তু তা নয়। এটা দেশের মাটিতে গাজীপুরেই প্রথম সন্ধ্যান মেলেছে আজব এ ধোঁয়া বিস্কুটের। ইতিমধ্যে এ বিস্কুটের খবর কালিয়াকৈরের বাহিরেও ছড়িয়ে পড়েছে। এ জন্য ব্যাপক আগ্রহ, উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে এ শিল্পাঞ্চলের তরুণ-তরুণীরা এ বিস্কুটের দোকানে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছে। 

সরেজমিনে, সম্প্রতি গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ঢালজোড়া ইউনিয়নের দেওয়াই এলাকায় অনুষ্ঠিত কেশব পাগল এর মেলায় আজব এ বিস্কুটের দোকানের সন্ধ্যা পাওয়া যায়। দোকানের সামনে গিয়ে দেখাগেছে, শতাধিক তরুণ-তরুণী এই বিস্কুটের স্বাদ নিতে হুমড়ি খেয়ে দোকানে ভিড় করছে। এ সময়ে কোনাবাড়ী এলাকা থেকে আসা সুমাইয়া সুলতানা নামের এক তরুণী বলেন, তিনি শোনেছেন এই মেলায় এক আজব চিপস বিস্কুট বিক্রি হচ্ছে। যেটা খেলে নাক দিয়ে ধোঁয়া বের হয়। আমি এ খবর শোনে এখানে ছুটে এসেছি। তিনি বলেন, আমার এটা দেখা মাত্রই সত্যিই আজব লেগেছে। মুখে চিবিয়ে খেলে এক ধরনের স্বাদ নিতে পারছি এর পাশাপাশি নাক দিয়ে ধোঁয়া বের হয়। এটা অনুভব করতে অনেক ভাল লাগছে।কিন্তু দুর থেকে অনেকেই এটাকে নেশা মনে করতে পারেন। কারণ এটা বিড়ির মতো ধোঁয়া বের হয়। 

গাজীপুর সদর এলাকা থেকে আসা এক তরুণ আবিদ হাসান বলেন, তিনি জীবনে প্রথম এ ধরনের চিপস বিস্কুট খাচ্ছেন। আসলেই এটা আজব ধোঁয়া বিস্কুট। মুখে দিলেই ধোঁয়া বের হয়। মনে হয় যেনো সিগারেট খাচ্ছি। তিনি বলেন, দোকানদার আমাকে বলেছেন এটা বাংলাদেশে প্রথম তারাই এই দোকান দিয়েছেন। 

আজব এই ধোঁয়া বিস্কুটের দোকানদার তরুণ রুবেল মিয়া বলেন, আমরা প্রথম গাজীপুরের মধ্যে চিপস' এর মতো দেখতে আজব এক ধোঁয়া বিস্কুটের দোকান দিয়েছি। জানিনা বাংলাদেশে আর কোন এ ধরনের দোকান আছে কি না। তিনি বলেন,তাদের এই বিস্কুটের মূল দোকান গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকায় রয়েছে। তবে আমরা এটাকে আরও মার্কেট ধরাতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় যেসব উৎস কিংবা মেলার আয়োজন থাকে সেসব এলাকায় গিয়ে আমরা অস্থায়ী দোকান দেই। তিনি বলেন,প্রথমে এ ধরনের বিস্কুট খাওয়ার দৃশ্য দেখে অনেকেই এটাকে নেশা জাতীয় দ্রব্য হিসেবে বিবেচিত করতো। পরে  যখন শিক্ষিত তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতীরা এ ধরনের আজব ধোঁয়া বিস্কুটের কথা শোনে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। তখন আর ভিড় সামলাতে পারছি না। সাথে সাথে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভূল বুঝাবুঝির অবসান ঘটিছে। 

তিনি আরও বলেন, তার দোকানে দৃষ্টিনন্দন এ বিস্কুট এক কাপ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টা ধরে। এছাড়াও বিশেষ ভাবে তৈরি করে দিলে ৭০/১০০ টাকা পর্যন্ত রাখা হয়। তিনি বলেন, এ বিশেষ ধরনের বিস্কুট তৈরিতে বিশেষ কিছু উপক ব্যবহার করা হয়। এতে স্বাস্থ্য হানি হয়। একন কোন উপাদান ব্যবহার করা হয়না। 

এ দিকে গাজীপুরের স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে কেউ-কেউ মনে করছেন।যেহেতু এ বিস্কুট মুখে চিবিয়ে খেলে বিড়ির সাদা ধোঁয়া বের হয়। তাই এ ধরনের বিস্কুট যদি মার্কেটে ব্যাপক ভাবে ছড়ানো যায়। তাহলে অনেক ধুমপায়ীরা এটাকে বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করবেন। এতে করে সমাজে ধুমপায়ী লোকজন কমে আসবে। 

সোনালীনিউজ/এমএস/এসআই

Wordbridge School
Link copied!