• ঢাকা
  • রবিবার, ১২ মে, ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

ক্ষেত থেকে তরমুজ বিক্রি পিস হিসাবে, ক্রেতারা কিনছেন কেজি হিসাবে


কলাপাড়া প্রতিনিধি মার্চ ২০, ২০২৪, ০৮:৪৬ পিএম
ক্ষেত থেকে তরমুজ বিক্রি পিস হিসাবে, ক্রেতারা কিনছেন কেজি হিসাবে

কলাপাড়া: কলাপাড়া উপজেলায় এবারে তরমুজে বাম্পার ফলন হয়েছে,মৌসুমের সেরা সুস্বাদু ফল তরমুজ, ক্ষেত থেকে কৃষকরা সরাসরি পাইকারদের কাছে বিক্রি করছেন পিস হিসেবে। ক্ষেতের সবচেয়ে বড় তরমুজ গুলো বিক্রি হচ্ছে আনুমানিক ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে। তবে সেই তরমুজ স্থানীয় বাজারে চড়া দামে পিস হিসেবে বিক্রি করলেও শহরের বাজারের সাধারণ ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে কেজি হিসেবে। অনেক সময় সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে তরমুজের দাম।

কুয়াকাটার খাজুরা গ্রামের কৃষক মোঃ রাসেল আকন এবার প্রায় ১৮ একর জমিতে তরমুজের চাষ করেছেন।কৃষক রাসেল আকনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ১৮ একর জায়গায় তাদের তরমুজ চাষে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার মতো খরচ হয়েছে। এখন প্রায় ২৩ লক্ষ টাকা বিক্রি করতে পেরেছেন তারা, তবে তিনি আরো আশা করছেন বিক্রির পরে যে ফল ক্ষেতে রয়েছে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে আরো ভালো অর্থ আসবে।

নীলগঞ্জের কৃষক বেল্লাল হোসেনের কাছে  কেজি হিসেবে নাকি পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কেজি হিসেবে তরমুজ বিক্রি করিনা।৩ থেকে ৫ কেজি ওজনের তরমুজগুলি আমরা প্রতি ১০০ পিস ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করি।সর্বোচ্চ ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় একদম বড় সাইজের তরমুজগুলি বিক্রি করি আমরা।

সারাদেশে পটুয়াখালীতে উৎপাদিত তরমুজের বেশ সুনাম রয়েছে। এ বছর কলাপাড়া উপজেলায় মোট ১৩২৩ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে।প্রায় সবগুলি ক্ষেতের তরমুজই পিস হিসেবে অথবা ক্ষেত অনুযায়ী বিক্রি হয়েছে।

কুয়াকাটার আলীপুরের কৃষক মনির হোসেন বলেন, আমরা তরমুজ কেজি হিসেবে বিক্রি করিনা৷আমরা ক্ষেত থেকে পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি করি শহরে গিয়ে কিভাবে সেটা কেজি হিসেব হয়ে যায় আমরা জানিনা। আমরা কৃষকরা গরিব আছি গরিবই থেকে যাবো।

তরমুজের পাইকার মোঃ সজীব যিনি ক্ষেত থেকে তরমুজ কিনে ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে নিয়ে যান তার সাথে কথা বলে জানা যায়, তারাও মোকামে নিয়ে পিস হিসেবেই বিক্রি করেন তরমুজ।কি কারনে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করাহয় সে তথ্য জানা নেই তার।তিনি আরও জানান, মৌসুমের শুরুতে তরমুজের দাম বেশি ছিলো এবং তারা তরমুজ কিনে অল্প কিছু লাভ করতে পেরেছেন।বর্তমানে সারাদেশের তরমুজ বাজারে আসতে শুরু করেছে যার কারনে তরমুজের দামও একটু কমেছে এবং সামনে আরও দাম কমবে বলে জানান তিনি।

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন এর সাথে কথা বলে জানা যায়, উপযুক্ত আবহাওয়া ও বালু মিশ্রিত মাটি হওয়ায় উপজেলার লালুয়া, কুয়াকাটা, মিঠাগঞ্জ, বালিয়াতলী, চম্পাপুর, ও নীলগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৪২,৪০০ মেট্রিকটন তরমুজ উৎপাদিত হয়েছে।

কেজিতে নাকি পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন,"ক্ষেত থেকে কৃষকরা পিস হিসেবেই তরমুজ বিক্রি করছেন, তবে বাজারে কেজিতে বিক্রি হচ্ছে এখানে আসলে আমাদের কিছু করার নেই, আমাদের কাছে আইনি ক্ষমতা নেই।"

এমএস

Wordbridge School
Link copied!