• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি


খুলনা ব্যুরো  মার্চ ২৪, ২০২৪, ০৫:৩১ পিএম
বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি

খুলনা: খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বেতন ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি শুরু করেছেন বেসরকারি পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেইনি ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
শনিবার (২৩ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার এ কর্মবিরতি চলবে আগামী সোমবার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত।

খুমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডাঃ দিবাকর চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আসাদুজ্জামান সাগর জানান, গতবছর ইন্টার্ন চিকিৎসক ও পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা তাদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন। সেই সময়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বেতন ভাতা বৃদ্ধি করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। পরে পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা হলেও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা হয়নি। তারা বলেন, তারা অনেক পরিশ্রম করলেও সে তুলনায় বেতন-ভাতা কম। তাদের দাবি বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করে ৩০ হাজার টাকা করা হোক। এদিকে, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হঠাৎ ডাকা এই ধর্মঘটে বেশ বিপাকে পড়েছেন ঘুমেক হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও তাদের স্বজনরা। তারা বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা রোজার মধ্যে টানা ২ দিন কর্মবিরতি পালন করলে তাদেরকে দুর্ভোগ পোহাতে হবে।

এদিকে সাত দিনের কর্মবিরতি শেষ হওয়ার পর আবারও কর্মবিরতি ঘোষণা করেছেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এ দফাও দুই দিনের কর্মবিরতির ঘোষণা দেয়া হয়। শনিবার (২৩ মার্চ) পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাবির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুন্নবীর সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'ইন্টার্ন ডাক্তার এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ডাক্তারদের বকেয়াসহ ভাতা পরিশোধ এবং ভাতা বাড়ানোর দাবিতে আজ (গতকাল) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় এবং দাবির প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। এই ৪৮ ঘণ্টা (২৪ এবং ২৫ মার্চ) দেশের সব ট্রেইনি চিকিৎসক এবং ইন্টার্ন ডাক্তার (ইর্মাজেন্সি এবং ক্যাসুয়ালিটি ডিউটি ছাড়া) সব ধরনের ডিউটি থেকে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক চিকিৎসক মো. হুসাইন শাফায়াত বলেন, হাসপাতালটি ৫০০ শয্যার, কিন্তু রোগী ভর্তি আছেন প্রায় দেড় হাজার। এত রোগী সামাল দিতে এমনিতেই হিমশিম খেতে হয় চিকিৎসকদের। ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা থাকলে রোগী সামাল দেওয়া অনেকটা সহজ হয়। তাঁদের কর্মবিরতিতে নিয়মিত চিকিৎসকদের রোস্টার করে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করার জন্য বলা হয়েছে। যে দুই দিন ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা কর্মবিরতি পালন করবেন, সে দুই দিন রোগী ও চিকিৎসকদের কিছুটা বাড়তি কষ্ট সইতে হবে।

এমএস
 

Wordbridge School
Link copied!