• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

ঈশ্বরদীতে শসার কেজি ১০ টাকা, চাষিদের মাথায় হাত


ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি: এপ্রিল ১৯, ২০২৪, ০১:০৯ পিএম
ঈশ্বরদীতে শসার কেজি ১০ টাকা, চাষিদের মাথায় হাত

পাবনা: প্রতি রমজানেই বাজারে শসার চাহিদা স্বাভাবিক দরের চেয়ে বেড়ে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম ছিল না। কিন্তু রমজান শেষ হওয়ার কয়েকদিন পর থেকেই হুট করে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে শসার দাম কমে গেছে। শসা উৎপাদন করে ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার শসা চাষিরা।
 
কয়েক দিন আগে ভালো দাম পেলেও বর্তমানে শসার দাম কমে যাওয়ায় ঈশ্বরদী উপেজেলার পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়।

শসা চাষিদের অভিযোগ, ১০ থেকে ১৫ দিন আগে বাজারে শসার দাম ভালো থাকলেও গত সপ্তাহ থেকে দাম কমতে শুরু করে। রমজানের শুরুতে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করলেও কয়েক দিন ধরে প্রতি কেজি শসা ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে দুই কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। এতে লোকসান গুণছেন শসা চাষিরা।

উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের কৃষক বাসিদুল ইসলাম বলেন, উৎপাদিত ৫০ কেজি ওজনের এক বস্তা শসা ৪০০ টাকায় বিক্রি করতে কষ্টে আমাদের বুক ফেটে যাচ্ছে। শসার ফলন ভালো হলেও বর্তমান বাজারে দাম না থাকায় খরচের টাকাও তুলতে পারছি না। শসা ছিঁড়তে যে খরচ, সে টাকাই তো উঠছে না। শসা চাষ করে লাভ তো দূরের কথা খরচও উঠল না।

একই ইউনিয়নের মাজদিয়া গ্রামের কৃষক আবেদ আলী বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে সবজির দাম চড়া থাকায় বড় আশা করে শসা চাষ করেছিলাম। এখন দশ টাকা কেজি দরে শসা বিক্রি করতে হচ্ছে। এক বিঘা জমিতে শসা চাষ করতে খরচ হয় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। আশা ছিল শসার ফলন ভালো হয়েছে, ভালো দাম পাব। কিন্তু রমজান শেষে পাইকাররা শসা কিনতে চাচ্ছে না। এরই মধ্যে আমার ৩০ হাজার টাকা লস হয়েছে।

শুক্রবার উপজেলার আরামবাডিয়া বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী আরিফুল হক বলেন, বাজারে শসার ব্যাপক সরবরাহ রয়েছে। ক্রেতাদের চাহিদা না থাকায় শসার দাম নেই বললেই চলে। আজ ৮ টাকা কেজি পাইকারি দরে শসা কিনেছি।

ঈশ্বরদী উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মিতা সরকার বলেন, চাহিদার বিপরীতে বাজারে শসার সরবরাহ কয়েক গুণ বেশি হওয়ায় বাজারের শসার দাম কমে গেছে। কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

এআর

Wordbridge School
Link copied!