• ঢাকা
  • সোমবার, ১৭ জুন, ২০২৪, ৩ আষাঢ় ১৪৩১

বিপৎসীমার ওপরে পিরোজপুরের সব নদ-নদীর পানি, অসংখ্য গ্রাম প্লাবিত


পিরোজপুর প্রতিনিধি মে ২৬, ২০২৪, ০৯:২১ পিএম
বিপৎসীমার ওপরে পিরোজপুরের সব নদ-নদীর পানি, অসংখ্য গ্রাম প্লাবিত

পিরোজপুর: ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরে সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে চ লে গেছে। রোববার (২৬ মে) দুপুরের জোয়ারে নদীর পানি বাড়ায় তীরবর্তী বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল ও লোকালয়ে পানি ঢুকে পরেছে। 

জোয়ারের পানিতে জেলার পিরোজপুর সদরের কিছু অংশ, ইন্দুরকানী, মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া, স্বরূপকাঠি ও কাউখালিসহ নিম্মঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া উঁচু এলাকাগুলোও দুপুরের জোয়ারের পানিতে তলিয়েছে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, জেলার নদ-নদীর পানি সর্বোচ্চ তিন ফুট পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সন্ধ্যায় আঘাত হানলে তখন নদীতে ভাটি থাকবে। এতে জলোচ্ছ্বাসের বড় ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড় শুরুর আগেই দুপুরের অতি জোয়ারে জেলার সদর, ইন্দুরকানী, মঠবাড়িয়া, স্বরুপকাঠী ও কাউখালী উপজেলার নদীতীরবর্তী অসংখ্য গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

ইন্দুরকানীর গাবগাছিয়া এলাকার কৃষক মো: শহিদুল ইসলাম বলেন, কচা নদীর জোয়ারের পানি উপচে লোকালয়ে ঘরবাড়িতে ঢুকে পড়েছে। এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। কোনো কাজ করতে পারছি না। কষ্টে দিনযাপন করছি।

স্বরূপকাঠি এলাকার বাসিন্দা সুমাইয়া আকতার জানান, অতিরিক্ত পানিতে পানি বন্দী হয়ে পড়েছে অনেক মানুষ। ঘূর্ণিঝড়ের হলে আরও ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। আতংকে রয়েছি আমরা। 

ইন্দুরকানীর উচ্চগ্রামের আবাসনের কয়েকজন গৃহিণী বলেন, আমাদের ঘর গুলো নদীর সাথে হওয়ায় ভয়ে থাকি সবসময়। যে কোনো সময় ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে। কোনো পাইলিং নেই। আজকে তো অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে ঘর তলিয়ে গেছে।

এবিষয়ে পাউবোর পিরোজপুর নির্বাহী প্রকৌশলী নুসাইর হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পিরোজপুরের প্রধান নদ-নদীর পানি দুপুরে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সবচেয়ে বেশি পানি বেড়েছে সন্ধ্যা ও কচা নদে। নদে দুপুরে বিপৎসীমার তিন ফুট ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। বলেশ্বর ও ভৈরব নদে বিপৎসীমার দুই থেকে তিন ফুট ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

আইএ

Wordbridge School
Link copied!