• ঢাকা
  • রবিবার, ১২ মে, ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১

দাম কমেছে ব্রয়লারের, সবজির দাম চড়াই


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ৭, ২০২২, ১১:৫৪ এএম
দাম কমেছে ব্রয়লারের, সবজির দাম চড়াই

ঢাকা: ইংরেজি নববর্ষ দাম বৃদ্ধি পাওয়া ব্রয়লার মুরগির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে ২০ টাকা পর্যন্ত। গত সপ্তাহে ২০০ টাকা দরে বৃক্রি হলেও এ সপ্তাহে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার। এদিকে বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজির দামই গত সপ্তাহের সঙ্গে অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় এবারের শীতে সব সবজির দাম অনেক বেশি বলে দাবি করছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা।

শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র উঠে এসেছে।

দেখা গেছে, বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা দরে। এছাড়া ১০ টাকা কমে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। গত সপ্তাহে সোনালি মুরগির কেজি ছিল ২৯০ টাকা। বাজারে কক মুরগি বৃক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজি দরে এবং লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা। আর প্রতিটি হাঁস বৃক্রি হচ্ছে আকারভেদে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়।

মুরগি ব্যবসায়ীরা বলছেন বাজারে সরবরাহের কোন সমস্যা ছিলো না। সিন্ডিকেটের কারণে গত সপ্তাহে মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছিলো। এছাড়া নতুন বছর উদযাপন উপলক্ষেও কিছুটা চাম ছিলো। তবে এখন আবার দাম কমেছে। আগামী সপ্তাহে আরো কমবে বলে প্রত্যাশা করেন তারা।

এদিকে মুরগির দাম কমলেও সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। গত সপ্তাহে মুরগির ডিমের ডজন ১০০ টাকায় বৃক্রি হলেও এ সপ্তাহে তা বৃক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়।

বাজারে গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজের দাম। গত সপ্তাহের মতো নতুন দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। এছাড়া নতুন আলু (গোল) বৃক্রি হচ্ছে ২০টাকা কেজিতে। লম্বা নতুন আলু বৃক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি দরে।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ফুলকপির পিস বিক্রি করছেন ৩০ থেকে ৫০ টাকা। বিচি ছাড়া শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। বিচি শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজিগুলোর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। একইসঙ্গে অপরিবর্তিত রয়েছে আলুর দাম। গত সপ্তাহের মতো নতুন আলুর কেজি ২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

দাম অপরিবর্তিত থাকার তালিকায় রয়েছে পাকা টমেটো। গত সপ্তাহের মতো পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। তবে গাজরের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

এছাড়া বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শালগমের (ওল কপি) কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, লালশাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা, মুলাশাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাক বিক্রি হচ্ছে। আর পালংশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। এ গুলোর দামও সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।

বিক্রেতারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার যাতায়াত ভাড়া বেশির পাশাপাশি পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় সবজির দাম কিছুটা বাড়তি রয়েছে। এছাড়া কিছুদিন আগে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হওয়াতে দাম কমানো সম্ভব হচ্ছে না।

মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছ। শিং ও টাকি মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। টেংরা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজিতে, শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকা।

এছাড়া এসব বজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকায়। ছোট ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। মাঝারি ধরনের চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি। আর বড় চিংড়ি (৪টি মাছে কেজি) বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা দরে।

সোনালীনিউজ/এমএইচ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!