• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

নির্বাচন কমিশনকে ‘লাল কার্ড’ দেখাল ঢাবির একদল শিক্ষার্থী


ঢাবি প্রতিনিধি জানুয়ারি ৩, ২০২৪, ০৮:৪৬ পিএম
নির্বাচন কমিশনকে ‘লাল কার্ড’ দেখাল ঢাবির একদল শিক্ষার্থী

সংগৃহীত ছবি

ঢাকা: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ‘প্রহসনমূলক’ আখ্যা দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে লাল কার্ড দেখিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে ‘গণতন্ত্রের পক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে তারা এ লাল কার্ড দেখান।

এর আগে মঙ্গলবার ও সোমবার মৌন মানববন্ধন ও পদযাত্রা করেন এ শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে তারা চার দফা দাবি জানান। তাদের দাবি, ১. ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বাতিল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে।

২. সব দলের অংশগ্রহণে সংলাপ ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংবিধানের গণতান্ত্রিক সংস্কার করে টেকসই ও সার্বজনীন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ব্যবস্থা সৃষ্টি করতে হবে।

৩. সকল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের গণতান্ত্রিক সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে।

৪. নির্বাচনব্যবস্থা ও রাষ্ট্রের অন্যান্য সব অঙ্গের সঙ্গে একাডেমিয়ার সম্পর্ক নিশ্চিত করতে হবে।

দাবি আদায় না হলে নির্বাচন পর্যন্ত প্রতিদিন এ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।  

আন্দোলনে অংশ নেওয়া পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিবুর রনি বলেন, আমরা ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বাতিল চাই। সে উদ্দেশ্যে এ নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনকে লাল কার্ড দেখিয়েছি। আমরা একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই, যেখানে প্রার্থীরা স্বাধীনভাবে নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন; মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবেন। রাতেই আরেকটি জাতীয় নির্বাচন হয়ে যাক, তা আমরা চাই না।

সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী সীমা আক্তার বলেন, দেশের ইতিহাসে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনগুলো একতরফা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন তখন দলীয় সরকারের কথাই বলে। তাছাড়া বিরোধী দলের ওপর দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে দমন-পীড়ন চলছে। আমরা এটিকে ‘না’ বলতে চাই। আমরা চাই রাজনীতিতে একটি সহনশীলতা গড়ে উঠুক।

তিনি বলেন, আমাদের দেশ ইতোমধ্যে অনেক সমস্যা মোকাবিলা করছে। এ মুহূর্তে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনই দেশের জন্য ভালো হবে। আমরা ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন চাই না।

কর্মসূচিতে আরও ছিলেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী নূমান আহমাদ চৌধুরী, নৃত্যকলা বিভাগের সাইমুন নাহার, প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞানের উমামা ফাতেমা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের আরমানুল হক, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের জালাল আহমেদ প্রমুখ।  

ওয়াইএ

Wordbridge School
Link copied!