• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মুশতাক-তিশা শোনালেন তাদের প্রেম কাহিনি


বিনোদন প্রতিবেদক জানুয়ারি ১৪, ২০২৪, ০২:৪৫ পিএম
মুশতাক-তিশা শোনালেন তাদের প্রেম কাহিনি

ঢাকা : রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির সিনথিয়া ইসলাম তিশা আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে বলেছিলেন, আমি একজন প্রাপ্তবয়স্ক ও সাবালিকা। নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার আমার আছে।

আমি মুশতাককে নিজ ইচ্ছায় বিয়ে করেছি। তিনি কোনো জোরজবরদস্তি করেননি। আমার বাবা যে মামলা করেছেন, তা আমার স্বামীকে হয়রানি করার জন্যই করেছেন।

তিনি আরও বলেন, আমি ভিকটিম, একজন পূর্ণবয়স্ক সাবালিকা। এ অবস্থায় নিজ জিম্মায় যেতে আমার আইনগত কোনো বাধা নাই। আমি নিজ জিম্মায় যেতে আদালতে আবেদন করছি।

আদালত তাকে নিজ জিম্মায় যেতে  আদেশ প্রদান করেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী তিনি নিজ জিম্মায় গিয়ে আদালত কিংবা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার তলবে নির্দেশিত স্থানে হাজির/উপস্থিত হতে বাধ্য থাকবেন।

এটা গত বছরের জুলাই মাসের ঘটনা। সম্প্রতি খন্দকার  মুশতাক ও তিশা সামাজিক মাধ্যমে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন। গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক মাধ্যমে তাদের নিয়ে কথা হচ্ছে। বিভিন্ন টেলিভিশন সাক্ষাৎকারেও দেখা যাচ্ছে তাদের। এসময় তাদের করা মন্তব্যও আলোচনায় আসছে।

মুশতাককে বিয়ে করতে বাসা থেকে পালিয়তে আসেন তিশা। সেই গল্প তিনি টেলিভিশনে বলতে গিয়ে বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে আমাকে বাসাতে তালাববদ্ধ কজরে রাখা হয়েছিল। সব গেট বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। তালা দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে আমি দ্বোতলার ছাদে উঠে সেখান থেকে লাফ দিয়েছি।

ওই সাক্ষাৎকারে মুশতাক বলেন, তিশা আমাকে ফোন করে জানায় যে তালা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। তাকে যেন নিয়ে আসি। সে লাফ দিয়ে আসার সময় আমাকে জানায়, আমি তাকে বলি লাফ যেন বালিতে দেয়, যেন ব্যাথা না পায়। সেভাবেই সে লাফ দিয়েছিল।

আইডিয়াল স্কুলের গভর্নিং বডির সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে গত ২২ জুন ঠাকুরগাঁও আদালতে মামলা করেন ওই ছাত্রীর বাবা সাইফুল ইসলাম। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ওই ছাত্রী ঠাকুরগাঁও আদালতে যান এবং তার স্বামী মুশতাক তাকে অপহরণ বা ধর্ষণ করেনি বলে জবানবন্দি দেন।   জবানবন্দি শেষে ওই ছাত্রী আদালতের মাধ্যমে নিজ জিম্মায় স্বামী মুশতাক আহমেদের সঙ্গে ঢাকায় চলে আসেন।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!