• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনী প্রশাসন সাজাতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা


নিউজ ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩, ০৪:৫০ পিএম
নির্বাচনী প্রশাসন সাজাতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা

ফাইল ছবি

ঢাকা : জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। এর অংশ হিসেবে আগামী তিন মাসের মধ্যে মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন পদে আস্থাভাজন, পরীক্ষিত, চৌকশ ও মেধাবীদের পদায়ন করা হবে। এ লক্ষ্যে জোরেশোরে শুরু হয়েছে কার্যক্রম। 

গত নভেম্বরে একযোগে ২৩ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দেওয়ার পর ফের নতুন ডিসি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এই পদে নিয়োগের জন্য ফিটলিস্ট করছে সরকার। 

ফিটলিস্ট প্রস্তুত করতে শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) থেকেই মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করবে প্রশাসনের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের শীর্ষ কমিটি সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি)। 

এ ছাড়া নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরভিত্তিক উন্নয়ন প্রকল্পে জোর দেওয়া, নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, জনসেবা খাতে অগ্রগতি, জনগণের দোরগোরায় ডিজিটাল সেবা পৌঁছানোর ক্ষেত্রেও বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। 

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন শাখার তথ্যমতে, ডিসি নিয়োগের ফিটলিস্ট প্রস্তুত করতে আজ থেকেই প্রশাসন ক্যাডারের ২৫ ও ২৭ তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ শুরু হবে। আজ ৬০ জনের, ৯ মার্চ ২৮ জনের, ১১ মার্চ ৫৯ জনের, ১২ মার্চ ৩০ জনের ও ১৮ মার্চ ৫৫ জনের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হবে। সবমিলে উপসচিব পদমর্যাদার ২৩২ জনকে ডিসি পদের জন্য সাক্ষাৎকারের সূচি প্রকাশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এই কর্মকর্তাদের সবাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ পেয়েছেন বলে জানা গেছে। 

সূত্র বলছে- প্রশাসন সাজানোর প্রক্রিয়া হিসেবে গত বছরের নভেম্বরে ২৩ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১৭ জেলা প্রশাসককে প্রত্যাহার করে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ও সংস্থায় পদায়ন করা হয়েছে। ফিটলিস্ট প্রস্তুতের পর জেলা প্রশাসক পদে আসবে বড় রদবদল। নিয়োগ দেওয়া হবে নতুন ডিসি। আগামী জাতীয় নির্বাচন সামাল দিতে প্রার্থী বাছাই থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে কর্মকর্তাদের বিচক্ষণতাকে। 

তথ্যমতে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাঠ প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। বর্তমানে ৩৩ ও ৩৪ ব্যাচের কর্মকর্তারা ইউএনও পদে রয়েছেন। তবে ৩৫ ব্যাচেরও ফিটলিস্ট তৈরি করা হয়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে এই ব্যাচ থেকেও শিগগিরই কর্মকর্তা পদায়ন করা হবে। সে হিসেবে রদবদল আসবে ইউএনও পদে। আর বিভাগীয় কমিশনাররা পদায়ন করে থাকেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে। তাই সরকারের পরীক্ষিত কর্মকর্তাদেরই বিভাগীয় কমিশনারদের পদে রাখা হবে। জেলা প্রশাসকদের কাজ তদারক, পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করা বিভাগীয় কমিশনারের প্রধান কাজ। 

এ ছাড়া বিভাগের অধীন বিভিন্ন জেলার কাজের সমন্বয় সাধন করেন কমিশনার। তাই এ পদটিকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। 

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, যেসব জেলা প্রশাসক বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন তাদের অনেকে ইতোমধ্যে সিনিয়র হয়েছেন। একটা সময় এদের রিপ্লেস করতে হবে। তাই এ পদের জন্য ফিটলিস্ট করা হচ্ছে। এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এ নিয়োগ কার্যক্রমকে আলাদাভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। 

এ ছাড়া স্বাভাবিকভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কোনো কর্মকর্তা দুই বছর দায়িত্ব পালন করার পর তাদের কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। এভাবে যাদের নির্ধারিত সময় পূরণ হয়েছে তাদের স্থলে নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। 

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র দশ মাস বাকি। সে হিসেবে সরকার নির্বাচনী ইশতেহারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জোর গুরুত্ব দিচ্ছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদফতর নিজ দফতরের সঙ্গতিপূর্ণ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। উন্নয়ন প্রকল্প সন্তোষজনকভাবে এগিয়ে নেওয়া, জনসেবা খাতে গুরুত্ব দেওয়াসহ জনসম্পৃক্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরা প্রতিনিয়ত অধীনস্থ দফতরকে তাগাদা দিচ্ছেন। এ ছাড়া প্রতিটি নির্বাচনে মাঠপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বড় ভূমিকা পালন করে থাকেন। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাঠপ্রশাসনের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!