আহ্হারে জীবন...

  • হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২, ০৪:৩৭ পিএম
আহ্হারে জীবন...

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় বাবা ও সৎমায়ের নিষ্ঠুরতায় একটি কক্ষে বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেলেও বাঁচানো গেল না ফাহমিদাকে। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে ফাহমিদা মারা যায়। 

প্রায় দেড় মাস ধরে শাহজিবাজার বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের আবাসিক ভবনে সৎমা ও বাবার চরম নিষ্ঠুরতায় ছোট একটি কক্ষে ফাহমিদা প্রায় দেড় মাস বিনা চিকিৎসায় অর্ধাহারে অনাহারে থেকে বন্দিদশায় ছিলেন। 

ফাহমিদার বন্দিজীবন ও অসুস্থতার খবর পেয়ে মাধবপুর উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে গত বুধবার সন্ধ্যায় তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বন্দি থাকায় ফাহমিদা বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড় মাস আগে শাহজিবাজার বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের অপারেটর আলী আকবরের মেয়ে মাদ্রাসার ছাত্রী ফাহমিদা আক্তার সর্দি, জ্বর, কাশিতে আক্রান্ত হয়। বাবা আকবর আলী ও সৎমা তাকে ডাক্তার না দেখিয়ে পানি পড়া ও তাবিজকবজ এনে দেয়। নিজ বাসার একটি কক্ষে ফেলে রাখায় দিন দিন ফাহমিদা আরও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। এভাবে প্রায় দেড় মাস ধরে চার দেয়ালের ভেতর আটকে রাখায় বিনাচিকিৎসায় মৃত্যুর দিকে ধাবিত হয়। 

মাধবপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পুলিশ ফাহমিদাকে উদ্ধার করে জরুরিভাবে চিকিৎসার জন্য সিলেট পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ফাহমিদাকে চিকিৎসক চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারেননি। 

ফাহমিদার বাবা আকবর আলী জানান, গত ১৫ বছর আগে ফাহমিদার মায়ের সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর ফাহমিদা ও তার এক ভাই আমাদের সঙ্গে একত্রে বসবাস করত। কিছু দিন আগে ফাহমিদা সর্দিজ্বর-কাশিতে আক্রান্ত হওয়ার পর কিছু ওষুধ দেওয়ার পর তার রোগ সারেনি। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ফাহমিদা সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে মারা গেছে। 

সোনালীনিউজ/আইএ

Link copied!