স্বামীর লাশের অপেক্ষায় জোনাকি। ছবি: সংগৃহীত
মাদারীপুর: পাসপোর্টের ফিঙ্গার দিতে ঢাকায় যাচ্ছিলেন মোস্তাক আহমেদ (৪২)। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মাসেই মোস্তাক সিঙ্গাপুর যেতেন। কিন্তু এক সড়ক দুর্ঘটনায় মোস্তাকের সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
মাদারীপুরের শিবচরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মোস্তাক আহমেদ গোপালগঞ্জ জেলার বনগ্রাম এলাকার সামসুল হকের ছেলে। তার মরদেহ গ্রহণ করতে দুই সন্তানকে নিয়ে শিবচর গেছেন স্ত্রী জোনাকি বেগম।
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক কোণে নির্বাক চোখে তাকিয়ে ছিলেন মোস্তাকের স্ত্রী জোনাকি বেগম। স্বামীর কথা জিজ্ঞাসা করতেই তিনি বলেন, 'এক ঝড়ে আমার সব শ্যাষ হইয়া গেল। আমার ছোট ছোট দুই পোলারে এতিম কইরা উনি চইল্লা গেল। ওগো আমি কি বুঝ দিমু। আল্লাহ আমার মরণ দিল না ক্যান। আমার স্বামীকে তোমরা ফিরাইয়া দাও।'
জোনাকির ভাই মো. সেলিম বলেন, 'মোস্তাক আগে প্রবাসে ছিল, গত কয়েক বছর আগে দেশে ফিরে ব্যবসা শুরু করে। এখন ব্যবসার অবস্থা ভালো না। তাই আবার সিঙ্গাপুর যাবে। আমার বোনের দুই ছেলে। বড় ছেলে ইশানের বয়স আট বছর আর ছোট তাসমিনের বয়স চার বছর। ছোট ছেলেটা বোঝে না যে ওর বাবা মারা গেছে। বাবাকে দেখবার জন্য আমার কাছে বারবার আসে। অনেক কান্নাকাটি করতেছে।'
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সূত্র জানায়, রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহনের একটি বাস পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এ সময় দুমড়ে মুচড়ে যায় বাসটি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নারীসহ ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া পথে আহত দুজন মারা গেছেন।
সোনালীনিউজ/আইএ
আপনার মতামত লিখুন :