প্রশ্নেই উত্তাপ, টকশোর মঞ্চে জুতা প্রদর্শন ও ধস্তাধস্তি

  • লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫, ০৫:২২ পিএম
প্রশ্নেই উত্তাপ, টকশোর মঞ্চে জুতা প্রদর্শন ও ধস্তাধস্তি

ছবি: প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে একটি নির্বাচনী টকশোর স্যুটিং চলাকালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীকে তাঁর আগের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নিয়ে প্রশ্ন করায় একপর্যায়ে জুতা প্রদর্শন, হাতাহাতি ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কিছু সময়ের জন্য টকশোর কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটে।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রামগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে স্টার নিউজ টেলিভিশনের আয়োজিত নির্বাচনী টকশোতে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, স্টার নিউজের প্রতিবেদক ফারাবি হাফিজের উপস্থাপনায় লক্ষ্মীপুর–১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী বিলুপ্ত বিএলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, রামগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির ও দলীয় প্রার্থী নাজমুল হাসান পাটওয়ারী এবং ইসলামী আন্দোলনের জেলা কমিটির সহসভাপতি ও দলীয় প্রার্থী জাকির হোসেন পাটওয়ারীকে নিয়ে টকশোটির আয়োজন করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও উপস্থিত রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা জানান, টকশোর একপর্যায়ে তেজগাঁও কলেজের এক শিক্ষার্থী ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী জাকির হোসেন পাটওয়ারীকে অতীতে জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কি না-এমন প্রশ্ন করেন। জবাবে জাকির পাটওয়ারী বলেন, যদি জাতীয় পার্টির সদস্য ফরমও তাঁর নামে থেকে থাকে, তাহলে তিনি আর রাজনীতি করবেন না।

এর মধ্যেই ইসলামী আন্দোলনের এক সমর্থক ক্ষিপ্ত হয়ে ওই শিক্ষার্থী বা অন্য কারও উদ্দেশ্যে জুতা প্রদর্শন করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে ইসলামী আন্দোলন ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতি ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনাও ঘটে।

স্টার নিউজের লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি আন নাজমুল সাকিব বলেন, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীকে জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা নিয়ে প্রশ্ন করাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বাইরে অন্য কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না, সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন।

ইসলামী আন্দোলনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব শেখ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। প্রশ্নটি পরিকল্পিত ছিল বলে তাঁদের ধারণা। তবে এর জেরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটিও কাম্য নয়। তাঁদের দলের কেউ দায়ী থাকলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। একই সঙ্গে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও কর্মীদের গায়ে হাত তোলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।

রামগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি শেখ মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, একটি প্রশ্নের জেরে চরমোনাইয়ের এক সমর্থক জুতা প্রদর্শন করেন। পরিস্থিতি শান্ত করতে তাঁরা এগিয়ে গেলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে কেউ কারও ওপর হামলা করেনি এবং কোনো আহতের ঘটনাও ঘটেনি। প্রশ্নকারী শিক্ষার্থী তাঁদের পরিচিত নন বলেও জানান তিনি।

রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। একটি প্রশ্নকে কেন্দ্র করে সাময়িক উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল, পরে তা সমাধান হয়ে গেছে। এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি।

এসএইচ 

Link copied!