আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা রিট আবেদনটি আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের কার্যতালিকায় এসেছে। বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে রিটটির ওপর শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত ৩ ডিসেম্বর নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ কংগ্রেস-এর মহাসচিব অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম রিটটি দায়ের করেন। রিটে নির্বাহী বিভাগ থেকে নির্বাচন কমিশনের সচিব, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা করার আবেদন করা হয়েছে। পাশাপাশি ইলেক্টোরাল সার্ভিস কমিশন গঠনের নির্দেশনা এবং রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচনের সব কার্যক্রম স্থগিত রাখার আবেদন জানানো হয়েছে। রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
রিটে যে যুক্তিগুলো তুলে ধরা হয়েছে
রিট আবেদনে বলা হয়েছে— সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের হলেও বাস্তবে এই দায়িত্ব নির্বাহী বিভাগকে প্রদান করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত সংবিধানবিরোধী। নির্বাহী বিভাগ সরকারের প্রতিনিধি হওয়ায় তারা সরকারের ইচ্ছানুযায়ী নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করে, যা গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করে। অতীত নির্বাচনগুলোতে নির্বাহী বিভাগের ভূমিকার কারণে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
আইনজীবী ইয়ারুল ইসলাম বলেন, “নির্বাহী বিভাগ ইতোমধ্যেই আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। তাদের দিয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে—এটা কেউ বিশ্বাস করে না।”
তিনি আরও বলেন, “ডিসিদের নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়ার ইঙ্গিত ইতোমধ্যে দেওয়া হয়েছে। এটি হলে আবারও প্রভাবিত নির্বাচন হবে।”
এ অবস্থায় তিনি জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্বাচনে যুক্ত করা এবং নির্বাচন কমিশনের সচিবকে অপসারণ করার দাবি জানান। তার মতে, নির্বাহী বিভাগের প্রভাবমুক্ত নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব লোকবল থেকেই সচিব ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নিয়োগ জরুরি।
এম
আপনার মতামত লিখুন :