পে স্কেল নিয়ে আল্টিমেটাম শেষ, যে পরিকল্পনা সাজাচ্ছে কর্মচারীরা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫, ০৬:২২ পিএম
পে স্কেল নিয়ে আল্টিমেটাম শেষ, যে পরিকল্পনা সাজাচ্ছে কর্মচারীরা

ফাইল ছবি

নতুন পে স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের ধারাবাহিক হুঁশিয়ারি, আল্টিমেটাম ও চাপের পরও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক ঘোষণা আসেনি। সোমবার ১৫ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে কর্মচারী সংগঠনগুলোর বেঁধে দেওয়া সময়সীমা। কিন্তু দিন শেষে পে স্কেল নিয়ে অনিশ্চয়তাই রয়ে গেছে। অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ চেয়ে দেওয়া চিঠির জবাবের অপেক্ষায় এখন কর্মচারী নেতারা।

রোববার সচিবালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহ আহমেদের দপ্তরে সাক্ষাতের আবেদনসংবলিত চিঠি হস্তান্তর করেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের কয়েকজন নেতা। তবে এখন পর্যন্ত সাক্ষাতের সময় নির্ধারিত হয়নি। আল্টিমেটামের সময় শেষ হলেও পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে স্পষ্ট অবস্থান জানাতে পারছেন না আন্দোলনকারীরা।

ইতোপূর্বে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা এলেও সাম্প্রতিক সময়ে সচিবালয়ে আন্দোলনকারীদের দমন প্রক্রিয়া এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলনের পর সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্ত কর্মচারী নেতাদের মধ্যে নতুন করে শঙ্কা তৈরি করেছে। একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আপাতত বড় ধরনের কর্মসূচিতে না যাওয়ার দিকেই ঝুঁকছেন তারা। সরকারি অবস্থান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের বক্তব্য কর্মসূচি নির্ধারণে তাদের ভাবনায় প্রভাব ফেলেছে।

বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি জিয়াউল হক বলেন, দাবি আদায় অবশ্যই করা হবে, তবে সব দাবি রাজপথে আদায় হয় না। পে স্কেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমেই সমাধানে যেতে চায় সংগঠনটি। পাশাপাশি সচিবালয়ে সাম্প্রতিক অপ্রীতিকর ঘটনার কারণে বাইরের কর্মচারীদের মধ্যে ভেতরের কর্মচারীদের নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। সব দিক বিবেচনায় রেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব বেল্লাল হোসেন বলেন, অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য দেওয়া চিঠির জবাবের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা। আগামী বৃহস্পতিবার ১৮ ডিসেম্বর দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেই বৈঠকের আলোচনার ভিত্তিতেই নতুন কর্মসূচির ঘোষণা আসবে।

তবে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকারি চাকরিজীবী বিধিমালা ও শৃঙ্খলার বাইরে গিয়ে কোনো কর্মসূচি দেওয়া হবে না। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে দায়িত্ব ও সীমাবদ্ধতার বিষয়টি মাথায় রেখেই আন্দোলনের পথ নির্ধারণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো প্রণয়নের লক্ষ্যে গত জুলাই মাসে একটি পে কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনকে ছয় মাসের মধ্যে সুপারিশ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও কর্মচারীদের দাবি ছিল, ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যেই নতুন পে স্কেলের গেজেট প্রকাশ করতে হবে। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও সেই গেজেটের কোনো আভাস না মেলায় উদ্বেগ আর অপেক্ষার দোলাচলেই দিন কাটছে সরকারি কর্মচারীদের।

এসএইচ

Link copied!