• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
মির্জা আব্বাস

সরকারকে জনরোষে বিদায় নিতে হবে


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ৬, ২০২৪, ১০:১২ এএম
সরকারকে জনরোষে বিদায় নিতে হবে

ঢাকা : সদ্য কারামুক্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে হাজারও পরিবারকে শেষ করে দিয়েছে। হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। বেছে বেছে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে। এ সরকার কখনোই টিকে থাকতে পারবে না। জনরোষে তাদের বিদায় নিতে হবে।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। যুবদলের নিহত দুই নেতার পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কারামুক্ত হওয়ার পর মির্জা আব্বাসের এটিই প্রথম কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ।

সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে বিএনপির নিহত নেতাকর্মীদের প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন, পৃথিবীর কোনো স্বৈরাচার কখনো ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। এরাও (আওয়ামী লীগ সরকার) একদিন যাবে। জবাবদিহিতা করতে হবে। আর ৪০ বছর পরে যদি কোনো নেতার বিচার হতে পারে, এসব হত্যারও বিচার করা হবে। ১৫ বছরে আমাদের হাজার হাজার কর্মী প্রাণ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, হত্যা এবং ২৮ তারিখে মিটিং পণ্ড করে দেওয়া সরকারের পরিকল্পিত ঘটনা। নির্বাচনে বিএনপি যাতে না যায়, এজন্য যাবতীয় ব্যবস্থা তারা করেছে। দেশি-বিদেশি এবং আন্তর্জাতিকসহ সবদিকে করেছে। তারা এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করল, আমরা বলতে পারলাম না-নির্বাচনে যাব। আমরা বারবার বলেছি, নির্বাচনে যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। কিন্তু সরকার তা করেনি।

মির্জা আব্বাস বলেন, জেল থেকে বের হওয়ার পর এই প্রথম আমি সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। শারীরিকভাবে একটু অসুস্থ। যে কারণে এতদিন আসতে পারিনি। আমি ১৯৭৮ সাল থেকে বহুবার কারাগারে আসা-যাওয়ার কারণে অভ্যস্ত হয়ে গেছি।

কিন্তু এবার জেলের যে তিক্ত অভিজ্ঞতা, জেলখানায় একজন মানুষ ঢোকা মানে হলো মৃত্যুদণ্ড নিয়ে ঢোকা। জেলখানায় কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। কোনো ব্যবস্থাই নেই-অসুখ হোক, সে মরে যাক।

আমি ব্যক্তিগতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি, আমি একটু অসুস্থ হয়ে পড়েছি। মাঝে মাঝে অসুস্থ হয়ে যাই। আমরা বারবার অনুরোধ করেছি, চিকিৎসার জন্য বাইরে পাঠান। আমাকে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা স্পষ্টভাবে বললেন, আপনাদের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা দেওয়া নিষেধ। আমরা বুঝে নিলাম, আমাদের চিকিৎসা হবে না।

অনুষ্ঠানে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না এবং শামীম মোল্লা ও আবদুর রশিদের পরিবারের সদস্যসহ সংগঠনটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে আবদুর রশিদের পরিবারের হাতে আর্থিক অনুদানসহ তার সন্তানদের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক। মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে পৃথক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।

আমিনুল হক জানান, আন্দোলনের মধ্যে সারা দেশে একটি ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করতেই রশিদকে পরিকল্পিতভাবে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। এর কোনো প্রমাণ যেন না থাকে সেজন্য আশপাশের সব সিসিটিভি ফুটেজও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে কোনো না কোনো প্রমাণ ঠিকই থাকবে। এ হত্যার বিচার একদিন হবেই।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়া, মহানগর উত্তর বিএনপির নেতা আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, ফেরদৌসী রহমান মিষ্টি, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, আতাউর রহমান চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!