• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১

শেখ ফজলে নূর তাপসকে ‘এডিসের লার্ভা উপহার কর্মসূচি’


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ২৯, ২০২১, ০৪:২৩ পিএম
শেখ ফজলে নূর তাপসকে ‘এডিসের লার্ভা উপহার কর্মসূচি’

ঢাকা : ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসকে ‘এডিসের লার্ভা উপহার কর্মসূচি’ করা হয়েছে। ‘বিক্ষুদ্ধ পুরান ঢাকার বাসিন্দারা’ ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

রোববার (২৯ আগস্ট) দুপুর ১২টায় ডিএসসিসির নগর ভবনের সামনে তারা এ কর্মসূচির আয়োজন করেন।

তবে কর্মসূচির শেষদিকে ‘এডিস মশার লার্ভার পাত্র’ ছিনিয়ে নিয়ে হুমকি-ধামকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ডিএসসিসির ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ আলমগীরের বিরুদ্ধে।

কর্মসূচিতে অংশ নেয়াদের অভিযোগ- কাউন্সিল আলমগীরের হুমকি-ধামকিতে তারা কর্মসূচির স্থান ত্যাগ করেছেন।

এদিকে, কর্মসূচি করতে আসা নগরভবন এলাকা ছাড়ার পর কাউন্সিলর আলমগীর ও তার এক সহকারী লার্ভার কাঁচের পাত্র নিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা নগরভবনের সিঁড়িতে অবস্থান নেন। তিনি ডিএসসিসি মেয়রের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেন। তবে সাড়া না পেয়ে লার্ভার পাত্র নিয়ে নগর ভবন থেকে বেরিয়ে যান কাউন্সিলর।

এর আগে লাভা উপহার কর্মসূচির শুরুতেই বক্তৃতা করেন পুরান ঢাকার বংশালের বাসিন্দা আলাউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমরা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের সুদৃষ্টির জন্যই তাকে লার্ভা উপহার দিতে এসেছি। এ লার্ভা কামরাঙ্গীরচর থেকে নিয়ে এসেছি।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকাবাসী জলাবদ্ধতা, মশা আর ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত। প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছেন। হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছের। এ থেকে বাঁচার জন্যই আজকে আমাদের এখানে আসা। আমরা ঠিকমতো ঘুমাতে পারছি না।’

অন্যদিকে লার্ভা উপহার কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে কর্মসূচিতে অংশ নেন জুরাইনের বাসিন্দা মিজানুর রহমান। যিনি ওয়াসার পানি দিয়ে শরবত বানিয়ে এমডিকে খাওয়াতে গিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন।

কর্মসূচিতে মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা এমন এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় বসবাস করছি, যে এখানে (নগরভবন) এসে দাঁড়াবো, তা নিয়েও আমাদের ভয়-আতঙ্ক। মনে হচ্ছে, যেন কোনো এক যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় এসেছি। নগর ভবনের সামনে দেখছি ময়লা পড়ে আছে। উল্টোপাশে পানি জমে আছে। মশকনিধনে দক্ষিণ সিটির এমন অবস্থা। এসব প্রশ্নের উত্তর মেয়র সাহেব কীভাবে দেবেন?’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি যেই অঞ্চলে বাস করি, সেখানে কোনো মশক নিধন কার্যক্রম নেই। আমার এলাকায় এখন পর্যন্ত নয়জন মারা গেছেন। মানুষ টাকার কারণে চিকিৎসা করতে পারছেন না। খেতে পারছেন না। তাদের কোনো রকম ভ্রুক্ষেপ নেই। তারা জমিদার হয়ে বসে আছেন। যেন আমরা প্রজা আর তারা রাজা। তাদের সামনে এমন প্রোগ্রাম করে কাজ হবে না। চোখে আঙ্গুল দিয়েই কথা বলতে হবে। আমাদের জীবনের তো মূল্য আছে।’

এদিকে, মিজানুর রহমানের বক্তৃতা চলাকালে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলমগীর ও তার একজন সহকারী বলেন, ‘এ কর্মসূচি ডিএসসিসির সাবেক মেয়র সাঈদ খাকনের নাটক।’

সোনালীনিউজ/এসএন

Wordbridge School
Link copied!