• ঢাকা
  • সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১
চট্টগ্রাম জাতীয় পার্টি

জোট করে আসন ভাগের চেষ্টা


চট্টগ্রাম প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩, ০৫:২৬ পিএম
জোট করে আসন ভাগের চেষ্টা

চট্টগ্রাম : জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির তেমন তৎপরতা নেই চট্টগ্রামে। অথচ দলটির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যানসহ বেশ ক’জন কেন্দ্রীয় নেতা আছেন এখানে। জোট করে শরিক দলের সমর্থনে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়াই তাদের চিন্তা। নির্বাচন উপলক্ষে দল গোছানোর বা নেতাকর্মীদের সক্রিয় করার কোনো কর্মসূচি নেই চট্টগ্রামের জাতীয় পার্টির।

সদ্যসমাপ্ত সংসদের ২৪তম অধিবেশনের সমাপনী দিনের বক্তব্যে জাতীয় পার্টি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানান বিরোধীদলীয় নেত্রী ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। কিন্তু তার বক্তব্যের প্রতিফলন নেই চট্টগ্রামে।

জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদের বাড়ি চট্টগ্রামে। গত নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীও চট্টগ্রামের বাসিন্দা। চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি সোলায়মান আলম শেঠও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য। মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম ও সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী দলের উপদেষ্টা। এত এত সিনিয়র নেতা থাকার পরও বেশ ক’বছর ধরে চট্টগ্রামে অনেকটা স্থবির জাতীয় পার্টি।

দলটির একাধিক নেতা জানান, চট্টগ্রামে বেশ ক’জন বড় নেতা থাকলেও পার্টির সাংগঠনিক অবস্থান একেবারে নাজুক। চট্টগ্রামের কোনো আসনে এককভাবে নির্বাচন করে জেতার মতো জনসমর্থন নেই তাদের। তাই জোট করে আসন ভাগের দিকে দৃষ্টি বড় নেতাদের।

পাঁচ বছর আগেও চট্টগ্রাম মহানগরীতে দুটি ধারায় বিভক্ত হয়ে মাঠে সক্রিয় ছিলেন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা। একটি গ্রুপ ছিল সাবেক এমপি মাহজাবীন মোর্শেদের নেতৃত্বে, আরেকটি গ্রুপ সোলায়মান শেঠের নেতৃত্বে। উভয়েরই শক্ত অবস্থান ছিল কেন্দ্রে। ঋণখেলাপির মামলায় সাজা হওয়ায় রাজনীতির মাঠ থেকে ছিটকে পড়েন মাহজাবীন মোর্শেদ। দুর্বল হয়ে পড়েন তার অনুসারীরা। ফাঁকা মাঠ পেয়েও দলীয় কার্যক্রমে গতি আনতে পারেনি সোলায়মান শেঠের নেতৃত্বাধীন কমিটি।

মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এয়াকুব হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী মাসে আমরা মহানগর সম্মেলন করব। তখন জনসভা করারও পরিকল্পনা রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের বিষয়ে এখনো দলীয় নির্দেশনা আসেনি। তবে মহানগরীর চারটি আসনেই আমরা প্রাথমিকভাবে প্রার্থী ঠিক করে রেখেছি। নির্বাচনী জোট হলে চট্টগ্রাম-৮ ও ৯ আসন আমরা চাইব।’

চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা চলছে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে। দক্ষিণ জেলা সভাপতি শামসুল আলম মাস্টারের মৃত্যুর পর আহ্বায়কের দায়িত্ব পান নুরুচ্ছফা সরকার। আর সদস্য সচিব করা হয় আবদুস সাত্তার রণিকে। কিন্তু দক্ষিণ চট্টগ্রামে এ কমিটির কার্যক্রম চোখে পড়ে না।

এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে আবদুস সাত্তার রণি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে কয়েকটি উপজেলা কমিটি পুনর্গঠন করেছি। যদিও তা প্রচার করিনি।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে দল এখনো আমাদের কোনো নির্দেশনা দেয়নি। রওশন এরশাদ সংসদে যা বলেছেন তা আমাদের দলীয় বক্তব্য নয়। কারণ সেটা চেয়ারম্যান-মহাসচিবের বক্তব্য নয়।’

উত্তর জেলা কমিটির আহ্বায়ক রাঙ্গুনিয়ার সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম। সদস্য সচিব মো. শফিক উল আলম চৌধুরী। দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও প্রয়াত মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর বাড়ি উত্তর চট্টগ্রামে হলেও সেখানে দলীয় কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়।

উত্তর জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী মাসের দিকে আমরা সম্মেলন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশা করি এর মধ্য দিয়ে দলের নেতাকর্মীরা আবারও চাঙ্গা হয়ে উঠবেন।’

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!