• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

ঘুরে দাঁড়িয়ে পিএসজিকে হারাল এসি মিলান


ক্রীড়া ডেস্ক নভেম্বর ৮, ২০২৩, ১১:৫৪ এএম
ঘুরে দাঁড়িয়ে পিএসজিকে হারাল এসি মিলান

ঢাকা : শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত, আক্রমণের জবাবে চলল পাল্টা আক্রমণ। সুযোগও তৈরি হলো অসংখ্য। তারকাসমৃদ্ধ পিএসজি প্রথমে এগিয়ে গেলেও ব্যবধান ধরে রাখতে পারল না। এক মাস ধরে চলা ব্যর্থতার জাল ছিঁড়ে জয়ের আনন্দে ভাসল এসি মিলান।

সান সিরোয় মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছে এসি মিলান। মিলান স্ক্রিনিয়ারের গোলে পিএসজি এগিয়ে যাওয়ার পর সমতা টানেন রাফায়েল লেয়াও। বিরতির পর অলিভিয়ে জিরুর গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইতালিয়ান ক্লাবটি।

অক্টোবরের আন্তর্জাতিক বিরতির পর থেকে ব্যর্থতা ঘিরে ধরেছিল এসি মিলানকে। সেরি আ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মিলিয়ে সবশেষ চার ম্যাচের একটিও জিততে পারেনি তারা; এর তিনটিতেই হারে দলটি, অন্যটি ড্র। অবশেষে পেল জয়ের স্বাদ।

ম্যাচের শুরু থেকে দুই দলই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে। চাপ কিছুটা বেশি রাখতে পারে পিএসজি, দ্রুত গোলও পেয়ে যায় তারা।

নবম মিনিটে কর্নারে মার্কিনিয়োসের হেড পাস ছয় গজ বক্সে পেয়ে ওয়ান-অন-ওয়ানে হেডেই লক্ষ্যভেদ করেন স্ক্রিনিয়ার। গোলটির পেছনে এসি মিলানের রক্ষণভাগের দায় পরিষ্কা্র। তাদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে একাই ছোট ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন স্ক্রিনিয়ার, কেউই তা খেয়াল করেননি!

অবশ্য পাল্টা জবাব দিতে স্বাগতিকরা একেবারেই সময় নেয়নি। আর এবার ভুল করে বসেন পিএসজি গোলরক্ষক জানলুইজি দোন্নারুম্মা।

পিছিয়ে পড়ার তিন মিনিট পর ডি-বক্সের মধ্যে থেকে বাঁ পায়ের শটে চেষ্টা করেন জিরু। দোন্নারুম্মা ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দিলেও দলকে বিপদমুক্ত করতে পারেননি। আলগা বল ছয় গজ বক্সের বাইরে পেয়ে অ্যাক্রোবেটিক ভলি করেন লেয়াও, যথেষ্ট ক্ষিপ্র হতে পারেননি গোলরক্ষক, তাই সোজাসুজি আসা বল তাকে ফাঁকি দিয়ে জালে জড়ায়।

পরের ১৫ মিনিটে দুইবার পাল্টা আক্রমণে একা পেয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপে; কিন্তু দলকে হতাশা ছাড়া দিতে পারেননি কিছুই।

২৭তম মিনিটে উসমান দেম্বেলের বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট ক্রসবারে লাগলে পিএসজির হতাশা আরও বাড়ে। এরপরই শাণানো প্রতি-আক্রমণে জিরুর জোরাল শট পাশের জাল কাঁপায়।

দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে জিরুর গোলে এগিয়ে যায় মিলান। বাঁ দিক থেকে থিও এরনঁদেজের ক্রস বক্সে পেয়ে লাফিয়ে হেডে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ফরাসি স্ট্রাইকার।

৬৩তম মিনিটে অসাধারণ নৈপুণ্যে ব্যবধান বাড়তে দেননি দোন্নারুম্মা। বক্সের অনেকটা বাইরে থেকে ফ্রান্সের ডিফেন্ডার এরনঁদেজের ফ্রি কিকে বল বাঁক খেয়ে পোস্ট ঘেঁষে জালে জড়াতে যাচ্ছিল, ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান ইতালিয়ান গোলরক্ষক।

পাঁচ মিনিট পর এমবাপের দুরূহ কোণ থেকে নেওয়া শট পা দিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক মাইক মিয়াঁ। ৮৫তম মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নিতে পারত মিলান, কিন্তু তাদের সুইস ফরোয়ার্ড নোয়া ওকাফোরের শট ঠেকিয়ে দেন দোন্নারুম্মা।

নির্ধারিত সময় শেষের আগের মিনিটে সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও হারায় পিএসজি। দক্ষিণ কোরিয়ার মিডফিল্ডার লি কাং-ইনের শট গোলরক্ষক মিয়াঁর হাত ছুঁয়ে পোস্টে লাগলে আসরে দ্বিতীয় হার সঙ্গী হয় ফরাসি দলটির।

মিলানের এই জয়ে ‘এফ’ গ্রুপের লড়াই আরও জমে উঠেছে।

দিনের প্রথম ম্যাচে নিউক্যাসল ইউনাইটেডকে ২-০ গোলে হারিয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে এই গ্রুপের শীর্ষে আছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। দ্বিতীয় স্থানে পিএসজির পয়েন্ট ৬।

আসরে প্রথম জয়ের দেখা পাওয়া মিলান ৫ পয়েন্ট নিয়ে উঠেছে তিন নম্বরে। চতুর্থ স্থানে নিউক্যাসলের পয়েন্ট ৪।

সেল্টিকের জালে আতলেতিকোর গোল উৎসব : স্কটিশ ক্লাব সেল্টিককে ৬-০ গোলে গুঁড়িয়ে দিয়েছে আতলেতিকো মাদ্রিদ। শুরুর দিকে ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া দলটির জালে দুবার করে বল পাঠান অঁতোয়ান গ্রিজমান ও আলভারো মোরাতা।

স্প্যানিশ ক্লাবটির অন্য দুই গোলদাতা সামুয়েল লিনো ও সাউল নিগেস।

চার ম্যাচে দুটি করে জয় ও ড্রয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ‘ই’ গ্রুপের শীর্ষে আছে আতলেতিকো।

গ্রুপের আরেক ম্যাচে ফেইনুর্ডকে ১-০ গোলে হারিয়েছে লাৎসিও। ৭ পয়েন্ট নিয়ে ইতালির ক্লাবটি আছে দুইয়ে।

তৃতীয় স্থানে ফেইনুর্ডের পয়েন্ট ৬। ১ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে সেল্টিক।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!