• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

মাহমুদউল্লাহকে আউট দেওয়া সেই বল ডেড নাকি ৪, যা বলছে ক্রিকেট আইন


ক্রীড়া ডেস্ক জুন ১১, ২০২৪, ০২:৫৪ পিএম
মাহমুদউল্লাহকে আউট দেওয়া সেই বল ডেড নাকি ৪, যা বলছে ক্রিকেট আইন

ঢাকা: দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইনিংসের ১৭তম ওভারে স্ট্রাইকে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ম্যাচের পরিস্থিতিও টাইগারদের নাগালেই ছিল। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার ডানহাতি পেসার ওটেনিল বার্টম্যানের একটি ডেলিভারি ফ্লিক করতে গেলে মাহমুদউল্লাহর প্যাডে লেগে যায়।

অনেকটা দ্বিধা নিয়েই আঙুল তুলেছিলেন অনফিল্ড আম্পায়ার স্যাম নোগাস্কি। এতে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। রিভিউতে দেখা যায়, বল লেগ-স্ট্যাম্প মিস করেছে। ফলে বেঁচে যান মাহমুদউল্লাহ।

রিয়াদের প্যাডে লেগে বল বাউন্ডারি পার হয়ে গিয়েছিল। লেগবাই হিসেবে ৪ রান পেত বাংলাদেশ। কিন্তু আম্পায়ার শুরুতে আউট দেওয়ায় বল ডেড হয়ে বাতিল হয়ে যায় সেই ৪ রান। শেষ পর্যন্ত ওই ৪ রানেই হেরেছে বাংলাদেশ।

এদিকে হারের কারণ হিসেবে আম্পায়ারকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। সাবেক ক্রিকেটাররাও আম্পায়ারিংয়ের সমালোচনায় মেতেছেন। তবে ডেডবল সংক্রান্ত ক্রিকেটের আইন অবশ্য আম্পায়ারের পক্ষেই কথা বলছে।

ক্রিকেটের ২০.২ ধারায় বলা আছে, ম্যাচে ‘ডেড বল’ নির্ধারণের ক্ষমতা কেবলই আম্পায়ারের; ‘বল শেষ পর্যন্ত মীমাংসা (ওই ডেলিভারির খেলা) হয়েছে কি না, তা সিদ্ধান্ত নেবেন আম্পায়ার।’

প্রাসঙ্গিক আরেকটি ধারায় (২০.১.১.১) বলা হয়েছে, বল তখনই ‘ডেড’ হবে, যখন তা উইকেটরক্ষক কিংবা বোলারের হাতে জমা পড়বে। সেই ধারায় আরও বলা আছে, ‘বোলিং প্রান্তের আম্পায়ার যখন বুঝতে পারবেন, ফিল্ডিং দল ও ব্যাটারদের খেলা থেমেছে, তখনই সেটা ডেড বল।’

এদিকে ২০.১.১.৩ ধারাও বাংলাদেশের বিপক্ষে যেতে পারে। যেখানে বলা আছে, যে মুহূর্তে বলের সাপেক্ষে আউটের সিদ্ধান্ত আসবে, সেই মুহূর্ত থেকে এটি ডেডবল ঘোষণা করা হবে। এর অর্থ, আম্পায়ার আবেদনে আঙুল তোলার পরই সেটি ডেডবলই ছিল।

এআর

Wordbridge School
Link copied!