• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

বার কাউন্সিল নির্বাচন ১৪ মে


আদালত প্রতিবেদক মে ৪, ২০১৮, ১০:৫৬ এএম
বার কাউন্সিল নির্বাচন ১৪ মে

ঢাকা : আইনজীবীদের সংবিধিবদ্ধ নজরদারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ১২ দিন। আগামী ১৪ মে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। এ নির্বাচনের ভোটার বার কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত ৪৩ হাজার ৭ শ’ ১৩ জন আইনজীবী। এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন ৬২ জন। এর মধ্যে সাতটি সাধারণ আসন এবং সাতটি অঞ্চলভিত্তিক আসন।

সরকার সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্যের ব্যানারে দুই শিবিরের প্রার্থীরা ভোটের জন্য চষে বেড়াচ্ছেন জেলা পর্যায়ের আইনজীবী সমিতিগুলো। গত দুই মেয়াদের নির্বাচনে ২০১৩ সালে বিএনপি সমর্থকরা এবং সর্বশেষ ২০১৫ সালের নির্বাচনে সরকার সমর্থক আইনজীবীরা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। সরকারের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল পদাধিকার বলে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান।  

সরকার সমর্থক আইনজীবী পরিষদ থেকে সাধারণ আসনের সাত প্রার্থী হলেন আবদুল বাসেত মজুমদার, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সৈয়দ রেজাউর রহমান, শ ম রেজাউল করিম, জহিরুল ইসলাম (জেডআই) খান পান্না, পরিমলচন্দ্র গুহ এবং মোখলেছুর রহমান বাদল। অঞ্চলভিত্তিক সাত আসনের প্রার্থীরা হলেন কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, মো. কবির উদ্দিন ভুঁইয়া, ইব্র্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল, এএফ মো. রুহুল আনাম চৌধুরী, পারভেজ আলম খান, মো. ইয়াহিয়া এবং রেজাউল করিম মন্টু।

অপরদিকে বিএনপি সমর্থক প্যানেলের সাত সাধারণ আসনের প্রার্থীরা হলেন এজে মোহাম্মদ আলী, ফজলুর রহমান, তৈমুর আলম খন্দকার, মো. বোরহানউদ্দিন, মো. হেলাল উদ্দিন মোল্লা, মো. আব্বাস উদ্দিন ও সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া। অঞ্চলভিত্তিক সাত সদস্য প্রার্থী হলেন মো. মহসীন মিয়া, বাঁধন কুমার গোস্বামী, শেখ মোখলেসুর রহমান, মো. দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, এসআর ফারুক ও মো. ইসহাক।

নির্বাচনে সরকার সমর্থক প্রার্থী ও বার কাউন্সিলের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল বাসেত মজুমদার বলেন, ‘গত তিন বছরে আইনজীবীদের কল্যাণে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। বার কাউন্সিলের জন্য ১৬ তলা ভবন নির্মাণ ও আইনজীবীদের জন্য ৪০ কোটি টাকার থোক বরাদ্দ এবং নবীন আইনজীবীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। আমার বিশ্বাস এবারো আইনজীবীরা আমাদের ভোট দেবেন।’  

বিএনপি সমর্থক প্যানেলের সাধারণ আসনের প্রার্থী মো. হেলাল উদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘আইনজীবীরা গণতন্ত্র, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও আইনের শাসনে বিশ্বাসী। সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে, বিচার বিভাগে দলীয়করণ করেছে। সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিন্হাকে দেশত্যাগে বাধ্য করায় আইনজীবীরা ক্ষুব্ধ। আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে বুঝেছি তারা নীরব সমর্থন দিয়ে আমাদের জয়যুক্ত করবেন।’

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!