বাংলাদেশ দল নিউজিল্যান্ডে, মঙ্গলবার থেকে আবার মাঠে

অস্ট্রেলিয়ায় ১০ দিনের ক্যাম্প শেষ করে নিউজিল্যান্ডে পৌঁছেছেন মাশরাফি-সাব্বির-সৌম্যরা। রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) নিউজিল্যান্ড পৌঁছে নিজের ফেসবুক পেজে সাব্বির রহমান একটি পোস্টে দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন আলহামদুলিল্লাহ, আমরা ভালোভাবে নিউজিল্যান্ডে পৌঁছেছি।’

হাতে একটা দিনের ‘অখণ্ড’ অবসর। তাসকিন-মাশরাফিরা সেই অবসরে ঘরে থাকতে নারাজ। মেঘলাদিনে তাই সবাই মিলে বেরিয়ে পড়লেন সমুদ্র সৈকতে। রুকাকা বিচে হাসি আর দুষ্টুমির ফাঁকে কেউ একজন তাইজুলকে ‘জিন্দালাশ’ বলে সম্বোধন করেন। তাসকিনের করা ভিডিওতে শোনা যায় এসব দুষ্টুমিমাখা আলোচনা।

বিমানে চড়ে তিন ঘন্টার ভ্রমন শেষে অবশেষে সিডনি থেকে অকল্যান্ডে পৌছালেন মাশরাফিও মুশফিকরা। স্থানীয় সময় সকাল দশটায়  রওনা হওয়া বিমান যাত্রা পথ শেষ হয় বিকেল চারটায়। এরপর সড়ক পথের পালা। অকল্যান্ডের দু’ধারে মনোরম দৃশ্য দেখতে দেখতে মাশরাফিরা ছুটছেন ওয়াঙ্গেরির পথে। 

কারণ আগামী ২২ ডিসেম্বর সেখানেই নিউজিল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে ৫০ ওভারের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল। ওয়াঙ্গেরির ডিস্টিংসানস হোটেলেই রাত কাটাবেন টাইগাররা। টিম বাস থেকেই মুঠোফোনে দলের ম্যানেজার সাব্বির খান জানিয়েছেন, সিডনি থেকে অকল্যান্ড বিমানযাত্রা ছিল নির্বিঘ্ন। তবে ভ্রমণ নিয়ে প্রায় সারা দিনই ধকল সামলাতে হওয়ায় খেলোয়াড়েরা ক্লান্ত। আগামীকাল বিশ্রামে থাকবে দল। প্রস্তুতি ম্যাচের আগে কোবহাম ওভালে শুধু পরশুই অনুশীলন হবে।

গতকাল নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার আগে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে নয় দিনের অনুশীলন ক্যাম্প করেছে বাংলাদেশ দল। খেলেছে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচও। ক্যাম্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা। আর এটাতে নিজেদের মোটামুটি সফলই মনে করছে দল।

প্রস্তুতি ম্যাচের পরদিন ২৩ ডিসেম্বর ক্রাইস্টচার্চ যাবে বাংলাদেশ দল। ২৬ ডিসেম্বর সেখানেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে। ২৯ ও ৩১ ডিসেম্বর পরের দুটি ওয়ানডে হবে নেলসনে। নেপিয়ারে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্ট ম্যাচ আগামী ৩ জানুয়ারি। মাউন্ট মুঙ্গানুইয়ে বাকি দুটি টি-টোয়েন্টি ৬ ও ৮ জানুয়ারি। ওয়েলিংটনে প্রথম টেস্ট শুরু হবে আগামী ১২ জানুয়ারি ও ক্রাইস্টাচার্চে দ্বিতীয় টেস্ট ২০ জানুয়ারি থেকে। সিরিজ শেষে ক্রাইস্টচার্চ থেকে বাংলাদেশ দলের দেশের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ২৫ জানুয়ারি।

অস্ট্রেলিয়ার প্রস্তুতি ক্যাম্প ও নিউজিল্যান্ড সফর মিলিয়ে এবারের সফরটি প্রায় ৫০ দিনের। সবার জন্য অবশ্য তা নয়। বিপিএল ফাইনাল শেষে দুই ভাগে অস্ট্রেলিয়া গেছে বাংলাদেশ দল। অনেকে গেছেন আরও পরে। আবার সবাই যে একসঙ্গে ফিরবেন, সেটাও নয়। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর দেশে ফিরিয়ে আনা হবে পাঁচ-ছয়জন ক্রিকেটারকে।

এবারের সফরটি যেমন লম্বা, দলের খেলোয়াড় সংখ্যাও অন্য যেকোনো সফরের তুলনায় বেশি। এমনকি হঠাৎ করেই অস্ট্রেলিয়া অনুশীলন ক্যাম্পে ডাক পাওয়া মেহেদী মারুফও আছেন নিউজিল্যান্ড সফরের দলের সঙ্গে। প্রথমে তাঁকে শুধু অস্ট্রেলিয়ার ক্যাম্পের জন্য ডাকা হলেও সেখানে মাত্র তিন চার দিন সময় পেয়েছেন এই তরুণ ক্রিকেটার। সে জন্যই নাকি তাঁকে নিউজিল্যান্ডেও বয়ে নিয়ে যাওয়া।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই