• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

বনানীর ধর্ষক নাঈম ফেরিওয়ালার ছেলে!


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ১১, ২০১৭, ০৯:৩৮ পিএম
বনানীর ধর্ষক নাঈম ফেরিওয়ালার ছেলে!

ঢাকা: ঢাকার বনানীতে ডেকে নিয়ে দুই তরুণীর ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত নাঈম আশরাফের বাড়ি সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার গান্দাইল গ্রামে। তারা বাবা সাধারণ ফেরিওয়ালা। ফেরি করে থালা-বাটি বিক্রি করতেন। নাঈম আশরাফের আসল নাম হালিম। নাম বদল করে বিয়ে করেছে ৩টি। আগের ২ স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলেও তৃতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকার কালশি এলাকায় ভাড়া থাকে।

কাজিপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটিতে সে নেই। তারপরও দলের শীর্ষ নেতাদের ছবি দিয়ে লাগিয়েছে ব্যানার-ফেস্টুন। বনানীতে ধর্ষণের ঘটনায় মিডিয়ায় ছবি প্রকাশের পর তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছে এলাকাবাসী।

প্রতিবেশী সিএনজিচালক শামীম হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, ২০০৪ সালে গান্দাইল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে হাসান মোহাম্মদ হালিম। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পরিচয় ব্যবহার করে রাজশাহী বোর্ড থেকে প্রশ্ন এনে ফেঁসে যান তিনি। ভর্তি হন বগুড়া পলিটেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটে। পড়াশুনা করা অবস্থায় সিরাজগঞ্জ শহরের এক প্রভাবশালী ঠিকাদারকে নিজের বাবা পরিচয় দিয়ে বিত্তশালী পরিবারের এক নারীকে বিয়ে করেন। পরিচয় জানার পর মেয়ে পক্ষ হালিমকে মারপিট করে মেয়েকে ছাড়িয়ে নেয়। আর কলেজ থেকে বের করে দেয় বগুড়া পলিটেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট কর্তৃপক্ষ। এরপর সে ঢাকা তেজগাঁও পলিটেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটে ভর্তি হয়ে ডিপ্লোমা পাস করে।

ইলেক্ট্রিক্যাল বিষয়ে ডিপ্লোমা পাস করার পর একুশে টিভিতে ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনে হালিমের চাকরি হয়। চেক জালিয়াতি করায় তার চাকরি চলে যায়। পরে মোহনা টিভিতে একই পদে চাকরি নেয় সে। সেখানেও একই কারণে চাকরি চলে যায় তার। বর্তমানে সে গান বাংলা টিভির ইলেক্ট্রিক্যাল বিভাগে কর্মরত।

ঢাকার কালশি এলাকার সাংবাদিক কলোনীর পশ্চিম অংশে অবস্থিত এক্সটেনশন রূপপুরের ৪নং গলির ৫তলার একটি ফ্ল্যাটে নাঈম ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছে।

কাজিপুর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাহারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, হালিম দলের মিছিল মিটিংও করেনি। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি পদ ব্যবহার করে এলাকায় ব্যানার-ফেস্টুন লাগানোর পর যুবলীগের পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগও করা হয়েছিল।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হুদা মিষ্টি বলেন, নাঈম আশরাফই আসলে হাসান মোহাম্মদ হালিম। দলের কমিটিতে আবদুল হালিম নামে যার নাম রয়েছে, সে আসলে এই হালিম নয়। কমিটিতে এই হালিমের কোনো নাম নেই। প্রতারণা করে ব্যানারে সে নিজের নাম ও পদবি ব্যবহার করছে।

তার দিনমজুর ছোট চাচা আবু বক্কার সিদ্দিক ও চাচী মাহমুদা খাতুন জানান, বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে হালিম দীর্ঘ ৫ বছর যাবৎ বাড়িতে আসে না। কিছুদিন হল সে তার বাবা-মাকে ঢাকায় নিয়ে গেছে। বাড়ির সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ নেই। আগে হালিমের বাবা ফেরি করে থালা-বাটি বিক্রি করতো। ধর্ষণের ঘটনা সত্য হলে  শাস্তি দাবি করেন হালিমের চাচা-চাচী।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেএ

Wordbridge School
Link copied!