• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

মৌলভীবাজারে জঙ্গিদের হাতে বিপুল অস্ত্র বিস্ফোরক


মৌলভীবাজার প্রতিনিধি মার্চ ২৯, ২০১৭, ১২:২২ পিএম
মৌলভীবাজারে জঙ্গিদের হাতে বিপুল অস্ত্র বিস্ফোরক

মৌলভীবাজার: জেলার দুটি আস্তানায় জঙ্গিদের হাতে বিপুল অস্ত্র বিস্ফোরক রয়েছে এমন ধারনা করছে পুলিশ। সেটা বিবেচনায় রেখেই, অভিযান এগিয়ে নেয়া হচ্ছে।

মৌলভীবাজার পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম বলেন, সকালে জঙ্গিরা আস্তানার ভেতর থেকে বেশ কয়েকটি গ্রেনেড চার্জ করে, তাতে ধারনা করা হচ্ছে এদের হাতে গোলা-বারুদ রয়েছে।

দুটি জঙ্গি আস্তানার একটি মৌলভীবাজার পৌরসভার বড়হাট এলাকায়। অপরটি সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের সরকার বাজারের কাছে ফতেপুর গ্রামে। উভয় আস্তানাতেই জঙ্গিরা সিলেটের শিববাড়ির আস্তানার মতো শক্ত অবস্থানে রয়েছে বলেই জানালেন রাশেদুল ইসলাম।

পুলিশ এই দুটি আস্তানাতেই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। জঙ্গিদের কোনঠাসা করে তুলতে এরই মধ্যে সকল প্রয়োজনীয় কৌশল নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, এরই মধ্যে রাত থেকে অত্যন্ত সাফল্যের সাথে দুটি আস্তানার বাড়ি দুটি ও আশেপাশের এলাকা থেকে কৌশলে সাধারণ বাসিন্দাদের সরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

জঙ্গিরা যতই গ্রেনেড ছুড়ুক, পুলিশ তাদের ছাড়বে না, ঘোষণা দেন এই সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা।

অভিযানের অংশ হিসেবে বড়হাট ও আশপাশের এলাকার গ্যাস এবং সরকার বাজার এলাকার গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বাড়ি দুটির মালিক সাইফুর সাব্বির  ও আতব্বর মিয়া নামের দুই ব্যক্তি। তারা একই পরিবারের সদস্য এবং দুজনেই লন্ডন প্রবাসী। দুই বাড়ির দূরত্ব ১৮ কিলোমিটারের মত।

এদিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়িতে আতিয়া মহল নামের এক বাড়ি ঘিরে গত ২৩ মার্চ গভীর রাতে একইভাবে অভিযান শুরু করেছিল পুলিশ। পরে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডোরা শনিবার সকালে শুরু করে চূড়ান্ত অভিযান- ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’।

ওই অভিযান শেষে আতিয়া মহলের ভেতরে এক নারীসহ চার জঙ্গির লাশ পাওয়া যায়। এর মধ্যেই ওই বাড়ির এক কিলোমিটারের ভেতরে জোড়া বিস্ফোরণে নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ছয়জন।

মঙ্গলবার রাতে সেনাবাহিনী অভিযান সমাপ্ত ঘোষণার পর ১২ ঘণ্টা পার না হতেই পাশের জেলা মৌলভীবাজারে নতুন অভিযান শুরু হল।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!