• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

আচরণবিধি লঙ্ঘনের হিড়িক


নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি নভেম্বর ২৯, ২০১৬, ০৭:১০ পিএম
আচরণবিধি লঙ্ঘনের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী থেকে শুরু করে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে আচরণবিধি লঙ্ঘন করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। প্রতিদিনই কোন না কোন ঘটনা ঘটিয়ে তারা নির্বাচনী আচরনবিধি লঙ্ঘন করছেন।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সকাল থেকে সাধারণ মানুষের দোয়া চাওয়ার পাশাপাশি নেতা-কর্মীদের নিয়ে লিফলেট বিতরণ করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। এ সময় তিনি নেতা-কর্মীদের নিয়ে সাধারণ মানুষের দোয়া চাওয়ার পাশাপাশি তাদের হাতে নিজের ছবি সংবলিত লিফলেট দিয়ে আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেন।

তবে সাখাওয়াতের দাবি তিনি কোন আচরণ বিধি লঙ্ঘন করছেন না।

ওইদিন ১৭নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী মিনহাজুল কাদির মিমনের একটি দোয়ার অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে নির্বাচন কর্মকর্তারা। ওই অনুষ্ঠানের আয়োজকরা বলছেন, এটা কোন নির্বাচনী প্রচারণা কিংবা এ সংক্রান্ত ছিল না। নিছক দোয়া কিন্তু সেটাও বন্ধ করে দিয়েছে। তবে নির্বাচন কর্মকর্তারা বলছেন, একজন প্রার্থীর পক্ষে দোয়া করায় সেটা বন্ধ করে দেয়া হয়।

সহকারী রিটার্নিং অফিসার ওমর ফারুক জানান, একজন প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণার অংশ হিসেবে দোয়ার সময়ে আমরা সেখানে গিয়ে প্রথমে বক্তব্য শুনে নিশ্চিত হই। পরে সেটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

একইভাবে মেয়র প্রার্থীদের মত আচরণবিধি ভঙ্গ করছেন কাউন্সিলর প্রার্থীরা। ১৭নং ওয়ার্ড থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মিনহাজুল কাদির মিমন। মিমন হলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগ সভাপতি আবদুল কাদিরের ছেলে। সেই সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মেয়র প্রার্থী ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভীর ভাগ্নে।

১৩ নং ওয়ার্ডে মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রবিউল হোসেন প্রথম থেকেই নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে চলেছেন। নির্বাচনী প্রচারের ব্যানার, ফেস্টুন এসব নিষিদ্ধ ঘোষণা করে খুলে ফেলতে বললেও ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় এখনো রবিউলের ব্যানার ফেস্টুন সাঁটানো রয়েছে। এছাড়া রবিউলও প্রতিদিন মিছিল করে গণসংযোগ করছেন। সন্ধ্যার পর মিছিল নিয়ে ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় মানুষের ভোট চাইছেন তিনি।

এদিকে আচরণবিধি ভঙ্গের ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারিফুজ্জামান জানান, এখন পর্যন্ত আমরা লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। কোন সাংসদ নির্বাচনী কাজে আসতে পারবেন না, আবার কেউ ছবি নিয়েও লিফলেট বিতরন করতে পারবেন না। মিছিল করে গণসংযোগ করাও আচরণবিধির লঙ্ঘন। এমনকি প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণও নিষেধ।

নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘আগামী ৫ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার পর উঠান বৈঠক, ঘরোয়া সভা করা যাবে। তবে মিছিল, শোভাযাত্রা ও সভা সমাবেশ করা যাবে না। তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমনিকি আচরণবিধি লংঘন করলে কেউ ভোট দিবে না।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!