• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গা উচ্ছেদ: দেশবাসীর সমর্থন চায় মিয়ানমার সেনাপ্রধান


জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৭, ০৯:০৫ পিএম
রোহিঙ্গা উচ্ছেদ: দেশবাসীর সমর্থন চায় মিয়ানমার সেনাপ্রধান

ঢাকা: রোহিঙ্গা ইস্যুতে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং। বর্তমানে তার নেতৃত্বেই চলছে মিয়ানমারের আরাকান থেকে রোহিঙ্গা উচ্ছেদ, ধর্ষণ, হত্যা ও সম্পদ লুট।

শনিবার(১৭ সেপ্টেম্বর) দেশটির ডিফেন্স সার্ভিসেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন স্কুলের এক ডিপ্লোমা বিতরণ অনুষ্ঠানে মিয়ানমারের সেনাপ্রধানের এই বক্তব্য আসে। দেশটির নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানসহ শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ওই অনুষ্ঠানে দেয়া তার বক্তব্য তার ফেইসবুক পেইজেও প্রকাশ করা হয়েছে।  

সেখানে জেনারেল মিন অং হ্লাইং বলেন, এই দেশে তাদের (রোহিঙ্গা) কোনো শেকড় নেই। এ সংক্রান্ত একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপি।

সেনাপ্রধান জানান, উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে তাদের ‘নির্মূল অভিযানের’ লক্ষ্য রোহিঙ্গা জঙ্গিদের বের করে দেয়া এবং যারা গত ২৫ আগস্ট পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়েছিল তাদের। রোহিঙ্গারা স্বীকৃতি চাচ্ছে, কিন্তু তারা কখনই মিয়ানমারের জাতিগত গোষ্ঠী নয়। আর আমাদের এই সত্য প্রতিষ্ঠায় এক হওয়া উচিত।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গত ২৫ আগস্ট পুলিশের বেশ কিছু চৌকিতে হামলার পর সেখানে অভিযান শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। অভিযানের নামে রোহিঙ্গা যুবতীদের ধরে নিয়ে ধর্ষণ করছে, জীবন্ত অবস্থায় হাত পা বেধে অঙ্গহানি করছে, হাত-পা কেটে ফেলছে, সবার সামনেই শিরচ্ছেদ করছে কুঠার দিয়ে। বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দিচ্ছে।

ওই অভিযান শুরুর পর থেকে প্রাণ বাঁচাতে দলের দলে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ ঢুকতে শুরু করে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযান শুরুর পর থেকে ৪ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকেছে।

মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ বলছে, পুলিশের চৌকিতে হামলার জন্য রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা আরসা দায়ী। তাদের দমন করতেই রাখাইনে সেনা অভিযান চালানো হচ্ছে। এছাড়া রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরাই রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছে বলেও দাবি মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের।

তবে, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের এ খবরটি আন্তর্জাতিকভাবে সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।

তবে রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর সৃষ্ট সহিংস পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে পালিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢোকা রোহিঙ্গাদের বেশির ভাগই বলছে, সন্ত্রাস দমনের নামে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যা করছে এবং তাদের ঘরাবাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ বলছে, রোহিঙ্গাদের ‘জাতিগতভাবে নির্মূল’ করছে মিয়ানমার।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Wordbridge School
Link copied!