ঢাকা: লোকজ গানের সুবাস ছড়িয়ে দিতে তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক ফোক ফেস্ট ২০১৭’। তিনদিনের এই উৎসবের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায়।
প্রথমদিনে উদ্বোধনী মঞ্চ মাতাবেন বাউলিয়ানার শিল্পীরা (বাংলাদেশ), ফকির শাহবুদ্দিন (বাংলাদেশ), মাওরিকো টিজুমবা ও সেক্সটেট (ব্রাজিল), নেজিন চেওগাল (তিব্বত) ও পাপন লাইভ (ভারত)।
রাজধানীর বনানীস্থ আর্মি স্টেডিয়ামে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১টা ৩০ পর্যন্ত দর্শকরা অনুষ্ঠানটি উপভোগ করতে পারবেন।
এছাড়া অন্য দিনের পরিবেশনায় থাকবেন দেশের লোকসংগীতশিল্পী শাহজাহান মুন্সি, আরিফ দেওয়ান, শাহনাজ বেলী, শাহ আলম সরকার, আলেয়া বেগম এবং ব্যান্ড বাউলিয়ানা ও বাউলা।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় এই শিল্পীদের পাশাপাশি নিজ দেশের সংগীত পরিবেশন করবেন ভারতের জনপ্রিয় শিল্পী পাপন, বাসুদেব দাস বাউল ও নুরান সিস্টার্স, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী তিব্বতি শিল্পী তেনজিন চোগিয়াল, ব্রাজিলের মোরিসিও টিজুমবাহ এবং ব্যান্ড রাস্তাক (ইরান), মেকাল হাসান (পাকিস্তান), কুটুম্বা (নেপাল) এবং মরুভূমির তিনারিওয়েন (মালি)।
‘ঢাকা আন্তর্জাতিক লোকসংগীত উৎসব’-এ দেশের জনপ্রিয় লোকসংগীতশিল্পীদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক শিল্পীদের সম্পৃক্ত করায় উৎসবটি হয়ে উঠেছে বেশ আকর্ষণীয়। এবার আর্মি স্টেডিয়ামে প্রতিদিন ২৫ হাজার দর্শক এই উৎসব উপভোগ করতে পারবেন। তবে ই টিকেট পাওয়া নিয়ে নানা ভোগান্তীতে পড়েছেন বলে অনেকেই জানিয়েছেন।
অবশ্য এ নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। ভেন্যুতে গিয়ে অনুষ্ঠান দেখার জন্য যারা রেজিস্ট্রেশন করতে পারেননি, তারা মাছরাঙা টেলিভিশনের সৌজন্যে ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক লোকসংগীত উৎসব ২০১৭’-এর ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে উৎসবটি উপভোগ করতে পারবেন দেশ ও দেশের বাইরের যেকোনো প্রান্ত থেকে।
ভেন্যুতে প্রবেশের জন্য প্রতিদিনই ই-টিকিট দেখাতে হবে। সঙ্গে রাখা যাবে না কোনো ব্যাগ। নারীদের ক্ষেত্রে ৮-১০ ইঞ্চি ব্যাগ রাখার সুযোগ দেয়া হবে। অনুষ্ঠানস্থল থেকে একবার বের হলে আর ভেতরে ঢোকা যাবে না।
অনুষ্ঠান শেষে আর্মি স্টেডিয়াম থেকে নির্দিষ্ট গন্তব্যের বাস থাকবে। প্রত্যেকের সঙ্গে ছবিসংবলিত পরিচয়পত্র রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। বাইরে থেকে আনা খাবার ও পানীয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ভেন্যুর ভেতরে নির্দিষ্ট অর্থ পরিশোধ করে খাবার সংগ্রহ করা যাবে। তবে বিশুদ্ধ পানি মিলবে বিনামূল্যে।
অনুষ্ঠানস্থলে ধূমপান ও যেকোনো ধরনের তামাকজাত দ্রব্য নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ। অনুষ্ঠানস্থলে পেশাদার ক্যামেরায় চিত্রগ্রহণ ও সাউন্ড রেকর্ডিংয়ের কোনো উপকরণ ব্যবহার করা যাবে না। কোনো পূর্ব বিজ্ঞপ্তি ছাড়া আয়োজকরা শিল্পীদের পরিবেশনার সময়সূচি পরিবর্তন করতে পারেন। কোনো পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে না।
আগামী ১১ নভেম্বর পর্যন্ত এ আয়োজন চলছে। এবারের উৎসবে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ইরান, ব্রাজিল, মালি, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও ফ্রান্স থেকে ১৪০ জন লোকসংগীতশিল্পী অংশগ্রহণ করবেন। ফেস্টিভ্যালের আয়োজক সান কমিউনিকেশনস।
সোনালীনিউজ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :