• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপির পাপ ধুইলে বুড়িগঙ্গা আরও ময়লা হবে


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ১৪, ২০১৭, ০৭:৩৯ পিএম
বিএনপির পাপ ধুইলে বুড়িগঙ্গা আরও ময়লা হবে

ঢাকা: বিএনপির অনেক ‘পাপ’ জমে আছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আপনাদের অনেক পাপ জমে গেছে। এটা ধৌত করবে এমন শক্তি কারো নাই। বিএনপির পাপ যদি ধৌত করতে যাই, তাহলে বুড়িগঙ্গা আরও ময়লা হয়ে যাবে।  

মঙ্গলবার(১৪ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দেয়ায় এ সমাবেশর ডাক দেয়া হয়।

ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনি আচরি ধর্ম পরকে শেখান। আগে নিজেরা শুদ্ধ হোন তারপর অন্যকে বলুন শুদ্ধ হওয়ার জন্য। আপনাদের চেয়ে অনেক ভালো আমরা। আমাদের ভুলত্রুটি আছে, আমরা শতভাগ শুদ্ধ একথা বলবো না। কিন্তু আপনারা তো শতভাগের কাছাকাছি অশুদ্ধ।

ভারতীয় একটি সিনেমার কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, পাপীর পাপ ধৌত করতে করতে রামের গঙ্গা ময়লা হয়ে গেছে। আমাদের বুড়িগঙ্গাও ময়লা হয়ে গেছে। বিএনপির পাপ যদি ধৌত করতে যাই, তাহলে বুড়িগঙ্গা আরও ময়লা হয়ে যাবে।

১৫৪ জন সংসদ সদস্যের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়াকে অবৈধ ঘোষণা করতে পারেন আশঙ্কায় সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে প্রধান বিচারপতির পদ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে বলে বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন যে বক্তব্য দিয়েছেন তারও জবাব দেন কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মোশাররফ সাহেব কি বলেছেন ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে? ১৫৪ জন নয়, ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। এটাও জানেন না তিনি। তিনি যে এ কথাটা কতবার বলেছেন তিনি নিজেও জানেন না। আসেন চ্যালেঞ্জ করুন। চ্যালেঞ্জ করুন এখানে আইনের কী সমস্যা, গণতন্ত্রের কী সমস্যা, নির্বাচনের কী সমস্যা?।’

‘আপনি নির্বাচনে এলেন না, অপ্রতিদ্বন্দ্বী করলেন অনেককেই। এর দোষ কি জনগণকে নিতে হবে? আপনি এলেন না, দোষ আপনার। এতে নির্বাচনেরও কোন দোষ নেই, বৈধতারও কোন সংকট নেই। আদালত কি তাদের (বিএনপি) মত ঘোড়ার ঘাস খায় নাকি? যে সেই ব্যাপারে রায় দিয়ে দিবে।’

প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ অশনি সংকেত-বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যেভাবে নেতিবাচক রাজনীতি আঁকড়ে ধরেছে এটা বিএনপির জন্য অশনি সংকেত। নির্বাচনে না এলে তাদের ভবিষ্যতের জন্য হবে অশনি সংকেত।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ইতিহাসের মহানায়কের পাশে ইতিহাসের ফুটনোটকে (জিয়াউর রহমান) তুলনা করা হয়েছে। জিয়াউর রহমানকে যখন স্বাধীনতার ঘোষক বলা হয়, তখন মনে হয় তিনি কবরে শুয়ে ছটফট করেন। কারণ তিনি নিজেই বলে গেছেন বঙ্গবন্ধুর সাত মার্চের ঘোষণা, স্বাধীনতার গ্রিন সিগন্যাল।’

জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদের সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।

সোনালীনিউজ/আতা

Wordbridge School
Link copied!