• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

সাফ শিরোপা ধরে রাখতে ভুটান যাচ্ছে ছোটন কন্যারা


ক্রীড়া প্রতিবেদক আগস্ট ৪, ২০১৮, ০৮:৩২ পিএম
সাফ শিরোপা ধরে রাখতে ভুটান যাচ্ছে ছোটন কন্যারা

ছবি: বাফুফের সৌজন্যে

ঢাকা: গত বছরের ডিসেম্বরে ঘরের মাঠে শক্তিশালী ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আবারও দরজায় কড়া নারছে দক্ষিণ এশিয়ার কিশোরী ফুটবলারদের সর্বোচ্চ এই টুর্নামেন্ট। এবার নিজেদের মাঠে না হলেও শিরোপা অক্ষুন্ন রাখার লক্ষ্য নিয়েই ভুটান যাচ্ছে গোলাম রাব্বানী ছোটনের শিষ্যরা।  

আগামী ৯ থেকে ১৮ আগষ্ট ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে অনুষ্ঠিত হবে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় আসর। টুর্নামেন্টে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসাবে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী ফুটবল দল। এ লক্ষ্যে আগামী ৬ আগস্ট ভূটানের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ছে মারিয়া মান্ডা-আখি খাতুনরা।  

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন

দেশ ছাড়ার আগে শনিবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের লক্ষের কথা জানান দলের কোচ, অধিনায়ক ও কর্মকর্তারা। কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন বলেন, ‘আপনারা জানেন প্রথম টুর্নামেন্টে আমরা খুব ভালোভাবেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। গেল বছর থেকেই আমরা এই টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছি। সেই থেকে ভালোভাবেই মেয়েদের প্রস্তুতি চলছে। মাঝখানে আমরা হংকংয়ে একটি টুর্নামেন্ট খেলেছি। সেখানে মধ্য এশিয়ার দলগুলোর সঙ্গে খেলি এবং ভালো ফল করি। এরপর মেয়েরা কিছুদিন বিশ্রাম নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করেছে। এই টুর্নামেন্টের জন্য মেয়েরা পুরোপুরিই প্রস্তুত। কোনো ইনজুরি সমস্যা নেই। আশা করছি এই টুর্নামেন্টেও মেয়েরা ভালো খেলবে এবং চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই খেলবে। শিরোপা ধরে রাখার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করবে।’

ছোটন জানান বর্তমান দলের ১৮ জন ফুটবলারেরই খেলার অভিজ্ঞতা আছে অনুর্ধ্ব ১৫ সাফে। এছাড়া হংকংয়ে জকি কাপেও খেলেছেন দলের ১৮ জন। বাকি ৫ ফুটবলার এসেছেন বাংলাদেশ গেমস এবং জেএফ এ কাপে সেরা পারফরম্যান্স করে। এরা হলেন ইলামনি,শাহেদা আক্তার রিপা,রেহেনা আক্তার, রোজিনা আক্তার, নোশন জাহান।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন অধিনায়ক মারিয়া মান্দা

লাল সবুজ দলের অধিনায়ক মারিয়া মান্দা বলেছেন, ‘এর আগে আমরা অনুর্ধ্ব ১৫ সাফের চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। আমাদের লক্ষ্য ছিলো টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন হওয়া। সে লক্ষ্যে সফলও হয়েছিলাম। স্যার (ছোটন) বলেছেন সামনে আমাদের অনেক খেলা আছে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়েছি। দেশবাসির কাছে দোয় চাই যেনো ভালো ফল নিয়ে ফিরতে পারি।’

সহ অধিনায়িকা আখি গত আসরে দুইটি দর্শনীয় গোল করে হয়েছিলেন টুর্নামেন্ট সেরা। এবার চান চ্যাম্পিয়ন ট্রফিটা দেশবাসীর হাতে তুলে দিতে,‘ভুটানে ভালো খেলার জন্যই যাবো আমরা। আমি একজন ডিফেন্ডার। সবার আগে দলের ডিফেন্স সামলানোটাই আমার দায়িত্ব। তারপর গোল করার চিন্তা। ভালো খেলে আপনাদের হাতে ট্রফি তুলে দেয়ার ইচ্ছা আমাদের।’

সংবাদ সম্মেলনে দলের পৃষ্ঠপোষক ওয়ালটন গ্রুপের বাংলাদেশ দলের টিম স্পন্সর ওয়ালটন গ্রুপের সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন) বলেন, ‘আমরা বরাবরই উইমেন উইং এর সঙ্গে কাজ করছি। বলতে গেলে একেবারে প্রথম থেকেই। চেষ্টা করছি মেয়েদের প্রত্যেকটা টুর্নামেন্টের সঙ্গে ওয়ালটন পরিবার থাকার। ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতেও থাকার চেষ্টা করব। গোলাম রাব্বানী ছোটন ভাইয়ের তত্ত্বাবধানে আমাদের মেয়েরা বাংলাদেশের সম্মান অনেকগুণ বৃদ্ধি করেছে। আমরা চাই মেয়েদের হাত ধরে দেশের সম্মানটা যেন আরো বৃদ্ধি পায়। যে টুর্নামেন্টে অংশ নিতে ভুটান যাচ্ছে বাংলাদেশ দল আশা করব সুষ্ঠ-সুন্দরভাবে টুর্নামেন্ট শেষ করে ভালো ফল করে ফিরে আসবে। বাংলাদেশ দলের জন্য ওয়ালটন গ্রুপের পক্ষ থেকে শুভকামনা জানাচ্ছি।’

মিস মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘ইনশাল্লাহ মেয়েরা ভুটানে ভালো কিছু করবে এবং আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ফাইট দেওয়ার জন্যই যাচ্ছি। ওয়ালটন গ্রুপ আমাদের টিম স্পন্সর হিসেবে আছে। তারা বরাবরই আমাদের পাশে থাকে। সেটা যেভাবেই হোক। সে জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।আমাদের গ্রুপে রয়েছে পাকিস্তান ও নেপাল। আসলে এই ধরনের প্রতিযোগিতায় কোনো দলই দুর্বল নয়। কোনো দলকেই খাটো করে দেখার উপায় নেই।’

অনূর্ধ্ব-১৫ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় আসরে ছয়টি দল অংশ নিবে। দলগুলো হল ভুটান, ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ রয়েছে ‘বি’ গ্রুপে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান ও নেপাল। অন্যদিকে ‘এ’ গ্রুপে রয়েছে ভারত, শ্রীলঙ্কা ও স্বাগতিক ভুটান দল। ৯ থেকে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত হবে গ্রুপপর্বের ম্যাচগুলো। ১৬ আগস্ট হবে দুটি সেমিফাইনাল। আর ১৮ তারিখ হবে ফাইনাল ও তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!