• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ


নোয়াখালী প্রতিনিধি ডিসেম্বর ৪, ২০২১, ১১:১০ এএম
রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ

পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ

নোয়াখালী: নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৮নং বীজবাগ ইউনিয়নের বীর নারায়নপুর গ্রামে মাদরাসা থেকে বাড়ি ফেলার পথে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী (১২) ধর্ষণ করেছে একই এলাকার মজু কারিগর বাড়ির মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে ধর্ষক জহির উদ্দিন (৪৫) ও তার সহযোগী একই এলাকার মৃত আলী সারেংয়ের ছেলে হাবীব উল্যাহ (৪৩)।
 
ওই ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বীর নারায়নপুর গ্রামের জহিরের ডেকোরেটর দোকানে। মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিতার মা বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই জহির উদ্দিন (৪৫) ও হাবীব উল্যাহ (৪৩)কে আসামী করে সেনবাগ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। শুক্রবার সকালে নির্যাতিতাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন ধর্ষককে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

জানাগেছে, বীর নারায়নপুর গ্রামের ডেকোরেটর দোকানদার ধর্ষক জহির এবং ওই দোকানের জায়গার মালিক হাবীব বিভিন্ন সময় ওই ছাত্রীকে মাদরাসায় যাওয়ার আসার সময় ইভেটিজিং করতো। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই ছাত্রী মাদরাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ডেকোরেটর দোকানের সামনে পৌঁছালে ধর্ষক জহির তাকে মুখ চেপে ধরে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ডেকোরেটর দোকানে ডুকিয়ে দোকানের স্যাটার বন্ধ করে হাবীবের সহায়তায় তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই মাদরাসা ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয় কিছু এলাকাবাসী এগিয়ে এসে ধর্ষকের দোকান ঘেরাও করলে কৌশলে তারা পালিয়ে যায়।

পরে রাতে এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ২জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সেনবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন। 

সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী ঘটনার সত্যতা  নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে এবং নির্যাতনের শিকার ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সোনালীনিউজ/জেএ/এসআই

Wordbridge School
Link copied!