• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তির মেয়াদ বাড়লো খালেদা জিয়ার


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ৩, ২০২০, ০৬:৪৭ পিএম
মুক্তির মেয়াদ বাড়লো খালেদা জিয়ার

ফাইল ছবি

ঢাকা: অবশেষে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। এ সংক্রান্ত ফাইল আইন মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এ তথ্য জানান।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আগের শর্তে বেগম জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। তবে তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।

এর আগে তার পরিবারের পক্ষ থেকে তার মুক্তির জন্য সরকারের কাছে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ মার্চ মুক্তি পান খালেদা জিয়া। আবেদনে যুক্তরাজ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু তখন তাকে দেশের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি সরকার। 

এবারও বিদেশে নেয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। গত ২৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঠানো হয় বলে তিনি জানান। 

গত ২৪ মার্চ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তার গুলশানের বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ এর উপধারা ১ অনুযায়ী, খালেদা জিয়ার সাজার কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার শর্তসাপেক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ছয় মাসের জন্য তার সাজা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুটি শর্তে তাকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। সেগুলো হলো- এই সময়ে তার ঢাকায় নিজের বাসায় থাকতে হবে এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।

তিনি আরও বলেন, ঢাকার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নেয়া এবং এই সময় বিদেশে না যাওয়ার শর্তে তাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আমি মতামত দিয়েছি। সেই মতামত এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে গেছে।

আর আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের পরদিন ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে খালেদা জিয়া জামিনে মুক্ত হয়ে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় যান। এরপর থেকে তিনি সেখানেই আছেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে দুই বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া। তার মধ্যে ১১ মাস ধরে তিনি বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ২০০৮ সালে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট এবং চ্যারিটেবল ট্রাস্ট সম্পর্কিত দুটি দুর্নীতির মামলায় ১৭ বছরের সাজা নিয়ে খালেদা জিয়া কারাভোগ করছিলেন।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!