• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

আরও ১৬ ট্রেক অনুমোদন বিএসইসির


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ২১, ২০২১, ০৭:৫৯ পিএম
আরও ১৬ ট্রেক অনুমোদন বিএসইসির

ফাইল ফটো

ঢাকা: শেয়ারবাজারে শেয়ার কেনা-বেচার করা জন্য নতুন আরো ১৬টি ট্রেক এর অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন(বিএসইসি)। এনিয়ে চলতি বছরে ৪৬ নতুন ট্রেক এর অনুমোদন দিলো নিয়ন্ত্রক সংস্থা। 

সোমবার (২১ জুন) কমিশন সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। 

অনুমোদন পাওয়া ট্রেক গুলো হলো- আমার সিকিউরিটিজ লিমিটেড, ব্যাঙ্গ জিন (বিজে) জিও টেক্সটাইল লিমিটেড, মিনহার সিকিউরিটিজ লিমিটেড,বিপ্লব হোল্ডিং লিমিটেড, এসোসিয়েটেড ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ লিমিটেড, বি রিচ লিমিটেড, কলোম্বিয়া শেয়ার এন্ড সিকিউরিটিজ  লিমিটেড, রাহমান ইকুয়িটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, এমকেএম সিকিউরিটিজ লিমিটেড, সম্রাট শেয়ার এন্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেড, বিনিময় সিকিউরিটিজ লিমিটেড, রিলিফ এক্সচেঞ্জ লিমিটেড, ইম্পেরোর সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ওয়েলথ ম্যানেজমেন্ট, এনওয়াই ট্রেডিং লিমিটেড, বি এন্ড বিএসএস ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল, ব্রিজ স্টক এন্ড ব্রোকারেজ লিমিটেড। 

এর ফলে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যভুক্ত মোট ব্রোকারেজ হাউজ বা ট্রেকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯৬টি।

ট্রেক হলো পুঁজিবাজারে লেনদেনের মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান। যার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার লেনদেন করবেন।

সম্প্রতি নতুন ট্রেক অনুমোদন সংক্রান্ত চিঠি ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠানো হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে। নতুন ট্রেক অনুমোদনের বিষয়টি ডিএসইর চেয়ারম্যানকেও অবহিত করা হয়েছে।

শেয়ারবাজারের পরিধি বাড়ানোর লক্ষ্যে অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃতত্বাধীন কমিশন নতুন ট্রেক বাড়ানো সিদ্ধান্ত নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় নতুন ট্রেক ইস্যুর বিষয়ে ২০২০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর চুড়ান্ত অনুমোদন দেয় কমিশন। পরবর্তীতে  ২০২১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ৯৯০তম পরিচালনা পর্ষদের সভায় সংশ্লিষ্ট বিধিমালা পরিপালন ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নতুন ট্রেক অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ডিএসই। এরপর ডিএসইর ওয়েবসাইট ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে নতুন ট্রেকের জন্য আবেদন জমা দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

প্রথম দফায় নতুন ট্রেকের জন্য আবেদন জমা দেওয়ার মেয়াদ ১৮ মার্চ পর্যন্ত রাখা হয়। তবে ওই সময়ের মধ্যে পর্যাপ্ত সাড়া না পাওয়ায় দ্বিতীয় দফায় আবেদন গ্রহণের মেয়াদ ২৮ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এ সময়ে মোট ৬৬টি প্রতিষ্ঠানের ট্রেক সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য আবেদন করে।  যাচাই-বাচাই শেষে প্রথম ধাপে বিভিন্ন কারণে ১৫টি প্রতিষ্ঠানের আবেদন বাতিল হয়। ফলে ট্রেক সার্টিফিকেট প্রদানের যোগ্য এমন ৫১টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা বিএসইসিতে পাঠায় ডিএসই। পরবর্তীতে বিএসইসির নির্দেশে আরো ৩টি প্রতিষ্ঠানের নাম তালিকায় যুক্ত করে ডিএসই। সব মিলিয়ে ডিএসইর প্রস্তাবিত ট্রেকের আবেদনের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৪টি।

গত ১৯ মে প্রথম দফায় যাচাই-বাচাই শেষে বিএসইসি ৩০টি ট্রেকের অনুমোদন দেয়। ট্রেক অনুমোদনের ক্ষেত্রে কোনো তদবির গ্রহণ করা হয়নি। প্রকৃত পক্ষে যোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেই ট্রেক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় ৩০টি ট্রেকের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। 

এর আগে ট্রেক অনুমোদন পাওয়া ৩০টি প্রতিষ্ঠান হলো- কবির সিকিউরিটিজ, মোনার্ক হোল্ডিংস, সোহেল সিকিউরিটিজ, আরএকে ক্যাপিটাল, যমুনা ব্যাংক সিকিউরিটিজ, স্নিগ্ধা ইক্যুইটিস, ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটিজ কোম্পানি, সাউথ এশিয়া সিকিউরিটজ, ট্রাইস্টার সিকিউরিটিজ, ৩ আই সিকিউরিটিজ, সোনালী সিকিউরিটিজ, কেডিএস শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, আল হারমাইন সিকিউরিটিজ, মির সিকিউরিটিজ, টিকে শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটজ, এনআরবি ব্যাংক সিকিউরিটিজ, এসবিএসি ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট, আমায়া সিকিউরিটিজ, প্রুডেন্সিয়াল ক্যাপিটাল, তাকাফুল ইসলামী সিকিউরিটিজ, বিএনবি সিকিউরিটিজ, অগ্রনী ইন্স্যুরেন্স সিকিউরিটিজ, মাহিদ সিকিউরিটজ, বারাকা সিকিউরিটিজ, এএনসি সিকিউরিটিজ, এসএফআইএল সিকিউরিটিজ, তাসিয়া সিকিউরিটিজ, ডাইনেস্টি সিকিউরিটিজ, সেলেস্টিয়াল সিকিউরিটিজ ও ট্রেড এক্স সিকিউরিটিজ।

ট্রেক অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা ১০টি প্রতিষ্ঠান হলো- উইংস ফিন, ফারইস্ট শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, ট্রাস্ট রিজোনাল ইক্যুইটি, এনসি সিকিউরিটিজ, এইচএসবি সিকিউরিটিজ, স্মার্ট শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, ইনোভা সিকিউরিটিজ, বিএনবি সিকিউরিটিজ, মিরপুর সিকিউরিটিজ ও ডিপি৭।

এর আগে প্রথম দফায় ট্রেক আবেদন বাতিল হওয়া ১২টি প্রতিষ্ঠান হলো- অ্যাসুরেন্স সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, টিএ মার্চেন্টডাইজিং, ফারিহা নিট টেক্স, ম্যাটরিক্স সিকিউরিটিজ, এসএমই ইনফরমেটিকস, বাংলাদেশ এসএমই কর্পোরেশন, বেসিক ব্যাংক সিকিউরিটিজ, গিবসন সিকিউরিটিজ, সিভিসি ফাইন্যান্স, এসকিউ ওয়্যার অ্যান্ড কেবল কোং, ইসলামিক ফাইন্যান্স ইনভেস্টমেন্ট ও জাপান সোলারটেক (বাংলাদেশ)।

সোনালীনিউজ/আরএইচ

Wordbridge School

অর্থনীতি বিভাগের আরো খবর

Link copied!